ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর সৈয়দ মহিদুল ইসলাম স্মরণ উৎসবের সমাপনী

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর সৈয়দ মহিদুল ইসলাম স্মরণ উৎসবের সমাপনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর তিনদিনব্যাপী ‘সৈয়দ মহিদুল ইসলাম স্মরণ উৎসব ২০১৮’। ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা দেশের খ্যতিমান অভিনেতা, নির্দেশক ও নাট্যকার প্রয়াত সৈয়দ মহিদুল ইসলাম স্মরণে এগারো বছর ধরে নিয়মিত এই স্মরণ উৎসব করে আসছে ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠী। ১২ সেপ্টেম্বর স্মরণের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে শুরু হয় নিয়মিত আয়োজন তিন দিনের এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন মানধিকার কর্মী এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। এ সময় তিনি বলেন- সৈয়দ মহিদুল ইসলামের মতো মানুষদের আজ বড় বেশী প্রয়োজন সাংস্কৃতিক বিকাশে ও সামাজিক, মানবিক মানুষ তৈরীতে। তিনি আরও বলেন বাবা-মা রা তাদের সন্তানদের যেন লেখাপড়ার পাশাপাশি সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমে আরও বেশী যুক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সুলতানা কামালের হাত দিয়ে সৈয়দ মহিদুল ইসলাম পদক তুলে দেয়া হয় তার এক সময়ের নাটকের সহকর্মী মঞ্চসারথি আতাউর রহমানের হাতে। এছাড়া অভিনেতা, নির্দেশক চন্দন রেজা, গোলাম শাহরিয়ার সিক্তকে মঞ্চবন্ধু সম্মাননা ও সৈয়দা শামছি আরা ও মমিনুল হক দিপুকে যুগল সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া স্মরণ আলোচনায় অংশ নেন নাট্যজন ড. ইনামুল হক, আকতারুজ্জামান ও ভারতের পথের পাচালীর দায়িত্বরত মিতা গাইন। এর পর মঞ্চস্থ হয় ভিশন থিয়েটারের নাটক ‘নৈশভোজ’। মনোজ মিত্রের রচনা গোলাম শাহরিয়ার সিক্তের নির্দেশনায় নাটকটি উপস্থিত দর্শকরা উপভোগ করেন । দ্বিতীয় দিনের স্মরণ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক স্বদেশ রায়, নাট্যজন গোলাম সারোয়ার সহ বিশিষ্ট নাট্যজনরা। এদিন আলোচনায় সাংবাদিক স্বদেশ রায় গুরুত্ব আরোপ করেন- সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো সহ জঙ্গি ও মৌলবাদ রুখতে থিয়েটার চর্চার বিষয়ে। সৈয়দ মহিদুলের মতো ব্যক্তিত্বর স্মৃতি ধরের রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। এর পরই মঞ্চস্থ হয় ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘পাখি’। মনোজ মিত্রের রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম সোহাগ। মধ্যবিত্তের টানাপেড়েনের গল্প নাটক ‘পাখি’। শেষ দিনে ১৪ সেপ্টেম্বর স্মরণ আলোচনায় অংশ নেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, নাট্যজন লাকী ইনাম, ঝুনা চৌধুরী, গোলাম সারোয়ার, নাট্যকার মাসুম রেজা। এদিন মঞ্চবন্ধু সম্মাননা পান নাট্যকার মাহফুজা হিলালী, সংগঠক হীরক গুণ, ডিজাইনার পলাশ হেনড্রি সেন। লিটু আনাম ও হৃদি হক, নাবিলা নাসরিন ও বুলবুল আহমেদ জয়, মল্লিক খালিদ হাসান রুমি ও সায়মা করিম, সোম ফেরদৌস ও আশরাফুল আশীষকে যুগল সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে হৃদি হকের নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় নাগরিক নাট্যাঙ্গন প্রযোজনা ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’। ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর এই আয়োজনে শেষ দিন ব্যাপক দর্শক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে ।
×