ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইনজুরিতে ছিটকে পড়া তামিমের অভাব পূরণ করলেন মিঠুন

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইনজুরিতে ছিটকে পড়া তামিমের অভাব পূরণ করলেন মিঠুন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঝুঁকি ছিল। আগেই ডানহাতের অনামিকায় চোট পেয়েছিলেন। তারপরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু বামহাতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তামিম মাঠ ছাড়ার পর যেন বাংলাদেশ দল ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তামিমের অভাব পূরণ করলেন মোহাম্মদ মিঠুন। জানুয়ারিতে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের মাটিতে তিনজাতি সিরিজের ফাইনালে খেলেছিলেন। প্রায় আটমাস পর আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ালেন মিঠুন। নেমেই দেখিয়ে দিলেন ঝলক। ৬৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬৩ রান করে মালিঙ্গার বলে আউট হন মিঠুন। এশিয়া কাপে ভাল করার কথা বলেছিলেন তামিম। জানিয়েছিলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদি আমরা পরের রাউন্ডে যেতে চাই। কিন্তু এখনই দূরেরটা চিন্তা করতে চাই না। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবতে চাই।’ কিন্তু তামিম প্রথম ম্যাচেই ব্যথা পেলেন। তাতে করে এশিয়া কাপে পরের ম্যাচে খেলার অনিশ্চয়তাও কী ঘিরে ধরল না? প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারানোর পর তামিম ইকবালের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়া আরও দুঃসংবাদ বয়ে আনে বাংলাদেশ শিবিরে। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে সিøপে থাকা কুশাল মেন্ডিসের ক্যাচে শূন্য রানে থাকা লিটন দাশকে ফেরান মালিঙ্গা। পরের বলে উইকেটে আসা সাকিব আল হাসানকে একেবারে বোল্ড করে দেন এই অভিজ্ঞ লঙ্কান পেসার। সুরাঙ্গা লাকমালের করা দলীয় দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে পুল করতে গিয়ে বাঁহাতের কবজিতে আঘাত পান তামিম। এমনিতেই ডানহাতের অনামিকায় তার পুরনো চোট রয়েছে। সে সময়ই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। তামিম, সাকিব, মুশফিক; চোট নিয়েই খেলতে নামেন। সাকিব শুরুতেই আউট হয়ে যান। তামিম ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তবে মুশফিক ঠিকই নিজেকে মেলে ধরেন। আর মিঠুনতো উজ্জ্বলতা ছড়ান। একটা সময় বলের চেয়ে রান অনেক কম ছিল। বল আর রানের পার্থক্য কমিয়ে আনেন মিঠুন ও মুশফিক। ১৫তম ওভারের সময় স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরার করা চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলেতো এক ছক্কা ও দুই চার হাঁকান মিঠুন। তখন তরতর করে রান বাড়তে থাকে। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন মিঠুন। এর আগে ২০১৪ সালে অভিষেকের পর থেকে ৩ ম্যাচ খেলেছিলেন। ২৬ রান সর্বোচ্চ ছিল। এবার দলের বিপদের সময় হাফসেঞ্চুরিই করে ফেললেন। ৫২ বলে ৫০ রান করেন মিঠুন। ২৩ বছর পর ১৯৯৫ সালে আবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে দলগতভাবে খেলতে নামে বাংলাদেশ দল। নেমেই শুরুতে বিপদে পড়ে। তবে সেই বিপদ উতরে নেয়া যায়। মুশফিকতো ভরসাবান ব্যাটসম্যানই। কিন্তু মিঠুন ‘এ’ দলে দুর্দান্ত খেলে দলে ফেরেন। তার ওপরও ভরসা থাকা স্বাভাবিক। তাইতো দলে আছেন। কিন্তু এত ভাল করে ফেলবেন মিঠুন তা ভাবাই যায়নি। ব্যথা পেয়ে তামিম মাঠের বাইরে যান। দল বিপদে পড়ে যায়। তামিমের অভাব দূর করে দেন মিঠুন।
×