ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমানের উদ্যোগে ‘গেট টুগেদার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে নবীন প্রবীণ সাংবাদিকদের মিলনমেলা বসেছিল। ৭ থেকে ৮ শ’ সাংবাদিকের আড্ডায় মুখরিত ছিল গোটা প্রেসক্লাব অঙ্গন। শফিকুর রহমান পরপর দুই মেয়াদে প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনকালে তার সম্পর্কে সতীর্থরা নানা স্মৃতির কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানে তিনিও আবেগময় বক্তব্য দেন। দিনব্যাপী আয়োজনে প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ দীর্ঘদিন পর একটা নির্মল আনন্দ উপভোগ করেছেন। শফিকুর রহমান তার দায়িত্বকাল আগামী ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি তার দায়িত্ব শেষ হওয়ার আগেই প্রেসক্লাবের সদস্যদের নিয়ে এমন একটি আনন্দঘন আয়োজন করেন। তার এই আয়োজনে মনোমুগ্ধ পরিবেশ বিরাজ করেছে গোটা প্রেসক্লাব জুড়ে। অনুষ্ঠানে শফিকুর রহমানকে নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, রিয়াজ উদ্দীন আহমেদ, জাহিদুজ্জামান ফারুক, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক স্বপন সাহা, মাহফুজ উল্লাহ, খন্দকার মুনিরুজ্জামান, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শাইখ সিরাজ, বিএফইউজের কর্মকর্তা খায়রুজ্জামান কামাল, নাসিমুন আরা হক মিনু, দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার ফিরোজ মান্না, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএফইউজের কর্মকর্তা শেখ মামুনুর রশীদ। অনুষ্ঠানে প্রবীণ সাংবাদিক সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন। ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, ৭১ টেলিভিশনের মোজাম্মেল বাবু, আতিকুর রহমান, ডিপি বড়ুয়া, আমিনুল ইসলাম বেদু, কার্তিক চ্যাটার্জি, আশরাফ আলী, আতাউর রহমান, জাফর ওয়াজেদ, খন্দকার মনিরুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শফিকুর রহমান সকলের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে গত চার বছরে প্রেসক্লাবের অনেকগুলো উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তার একক চেষ্টায় প্রেসক্লাবের জমি দীর্ঘ ৬০ বছর পরে প্রেসক্লাবের নামে নামজারি হয়েছে। এখন জমির মালিক প্রেসক্লাব। এর আগে প্রেসক্লাবের দুই একরের বেশি জমি তামাদি হয়ে পড়েছিল। ৩১ তলা বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজও শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তার আবেগময় বক্তব্যে কিছু অপ্রাপ্তির কথাও ছিল। কিছু অসহযোগিতার কথাও ছিল। অনেকের অসহযোগিতায় তিনি অনেক কাজ এগিয়ে নিতে পারেন নি। তবে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন কাজগুলো শেষ করতে। ৩১ তলা ভবনের ‘সয়েল টেস্ট’ হয়েছে। এখন রাজউকের কাছে নক্সা জমা দেয়ার পালা। অল্প দিনের মধ্যে এ কাজটি তিনি করে যাবেন। একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে, প্রেসক্লাবের জমিটি ডেভলপারকে দিয়ে উন্নয়ন করবে। কিন্তু আমি বেঁচে থাকতে এ কাজটি করতে দেব না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমি এর প্রতিরোধ করব। আমি হয়তো কমিটিতে থাকব না। তাই বলে তো প্রেসক্লাব ছেড়ে যাব না। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা আগামী দিনে প্রেসক্লাবের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শফিকুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কোন প্রকার আপোস করা যাবে না। প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের শক্তি ক্ষমতায় থাকবে তার জন্যেই আমরা আন্দোলন করে আজকের অবস্থায় এসেছি। আগামী দিনে যারা কমিটিতে আসবেন তাদের কাছে দাবি রেখে যাচ্ছি আমাদের আদর্শের আন্দোলনকে আরও স্বার্থক করে তুলবেন। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে রাজাকারদের স্থান না দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে পথে চলবেন। আমার এটা শুধু দাবিই না আমি বিশ্বাস করি আপনারা এ কাজটি করবেন। প্রেসক্লাব নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা আমার ছিল। এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। আজ আপনরা এখানে এসে আমাকে ধন্য করেছেন। আমি আপনাদের উপস্থিতিতে অন্ত্যন্ত আনন্দিত হয়েছে। আপনাদের সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
×