ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থবছরের প্রথম মাসেই বাণিজ্য ঘাটতি ১০ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অর্থবছরের প্রথম মাসেই বাণিজ্য ঘাটতি ১০ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমদানির চাপে বেড়েই চলছে বাণিজ্য ঘাটতি। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি ব্যয় বাড়লেও সে অনুযায়ী বাড়ছে না রফতানি আয়। ফলে বাড়ছে বাণিজ্যের ঘাটতির পরিমাণ। এতে করে চাপে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা। তাদের মতে দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে। এসব বড় বড় প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি বেড়ে গেছে। এছাড়াও শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। এসব কারণেই বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে। তবে এই ঘাটতি মেটানো হয় রেমিটেন্স ও বিদেশী বিনিয়োগ দিয়ে। এই খাতেও তেমন আশানুরূপ গতি নেই। ফলে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বা বিওপি) ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা বিদ্যমান থাকা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ভাল নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শেষে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছর প্রথম মাসে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৩৫২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৪৭০ কোটি ডলার। এ হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতির দাঁড়িয়েছে ১১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। যা বর্তমান বিনিময় হার (৮৪ টাকা) অনুযায়ী ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি।
×