ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়লেও সূচক কমেছে

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়লেও সূচক কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন। সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৭.৫৬ শতাংশ। আর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১.৩২ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ৪ হাজার ৫০৬ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৫৩ কোটি ৮৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছিল। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১ দশমিক ৩২ শতাংশ বা ৭৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট। আর ডিএসই ৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ৩৮ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ২২৩টির আর অপরিবর্তীত ছিল ১০টির দর। অন্যদিকে মোট লেনদেনের ৯৩.১৩ শতাংশ ছিল এ ক্যাটাগরির, ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ বি-ক্যাটাগরির, ২ দশমিক ৮১ শতাংশ এন এবং ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ছিল জেড ক্যাটাগরিরর কোম্পানির দখলে। এ দিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রকৌশল খাত। তবে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন। ডিএসইর সাপ্তাহিক লেনদেন চিত্রে এমনটিই উঠে এসেছে। তথ্যমতে, ডিএসইর মোট লেনদেনে গেল সপ্তাহে প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল ২২ শতাংশ। আলোচিত সময়ে খাতটির দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৯৫ কোটি টাকা। এরপরেই জ্বালানি খাতের অবস্থান। মোট লেনদেনে খাতটির অংশগ্রহণ ১৬ শতাংশ। এর দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪১ কোটি টাকা। এদিকে দুই সপ্তাহ আগে ব্যাংক খাত লেনদেনের শীর্ষে থাকলেও তা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। গেল সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনেদেনে ব্যাংকিং খাতের অংশগ্রহণ ছিল ৫ শতাংশ। আর্থিক খাতের লেনদেনেও ছিল একই চিত্র। এর মধ্যে ব্যাংকিং খাতের দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৫ কোটি টাকা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি টাকা। অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে গেল সপ্তাহে লেনদেনে বস্ত্র খাতের অংশগ্রহণ ছিল ১৫ শতাংশ, ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের ১৩ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৪ শতাংশ, খাদ্য-আনুষাঙ্গিক খাতের ৩ শতাংশ। এছাড়া ভ্রমণ-অবকাশ, সিমেন্ট, জীবন বীমা, সেবা-আবাসন, চামড়া খাতের প্রত্যেকের ২ শতাংশ করে এবং সিমেন্ট, সাধারণ বীমা প্রত্যেকের ১ শতাংশ করে লেনদেনে হয়েছে।
×