মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বৈঠকের সমালোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, কেরি এমন এক দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন যারা আমাদের প্রতি শত্রু ভাবাপন্ন। তার এই কাজ জনগণের জন্য আমাদের মহৎ উদ্যোগগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এএফপি।
কেরি ইরানকে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছেন বলে ট্রাম্প তার টুইটে উল্লেখ করেন, তিনি টুইটের শেষে লেখেন ‘খারাপ’ শব্দটি। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয়টি দেশের পরমাণু চুক্তি সম্পাদিত হয়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ইরানের সঙ্গে আলোচনা করেন কেরি। চলতি বছর মে মাসে ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে ইরান মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জন কেরি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর একটি বই লিখেছেন, নাম ‘এভরি ডে ইজ এক্সট্রা’। তিনি এতে উল্লেখ করেছেন যে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফের সঙ্গে তার তিন থেকে চারবার বৈঠক হয়েছে। এদিকে কেরি যা করেছেন তা বৈধ না অবৈধ সে প্রশ্ন না তুলে বর্তমান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তার পূর্বসূরীর সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি সরাসরি মার্কিন নীতিকে খাটো করেছেন। পম্পেও বলেন, কেরি যা করেছেন তা অনুচিত এবং নজিরবিহীন। উল্লেখ্য পম্পেও একজন কট্টর ইরান বিরোধী হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেছেন, ‘দেখুন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কা-, তিনি বিশ্বের সর্ববৃহৎ সন্ত্রাস সমর্থনকারী দেশকে সমর্থন করেছেন, তার কথাতেই বিষয়টি প্রমাণিত।’ এদিকে কেরির একজন মুখপাত্র বলেছেন, তিনি অনুচিত কিছু করেননি। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি তার সাবেক প্রতিপক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে থাকেন। অন্যান্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও এ কাজ করেছেন।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়েট বলেছেন, জারিফের সঙ্গে কেরির বৈঠক সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। কেরি জারিফকে উপদেশ দিয়েছেন ইরান যেন সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে সমর্থন না দেয়।