ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গড়ে উঠছে আধুনিক শৈলীর জাদুঘর, জিমনেসিয়াম নাট্যমঞ্চ

পুরান ঢাকায় জেলখানার চিত্র পাল্টে হচ্ছে বিনোদন কেন্দ্র

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পুরান ঢাকায় জেলখানার চিত্র পাল্টে হচ্ছে বিনোদন কেন্দ্র

মশিউর রহমান খান ॥ আমূল পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর পুরান ঢাকার পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও তার আশপাশের এলাকার সার্বিক চিত্র। পুরান ঢাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি বসবাসকারী নাগরিকসহ সমস্ত ঢাকাবাসীর বিনোদনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে এই কারা এলাকাকে ঘিরে। এ কারাগারটির সঙ্গে জড়িত সকল প্রকার ঐতিহাসিক স্থাপনা তথা ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও কারাগারের ইতিহাস সংরক্ষণের পাশাপাশি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে সরকার এক বিশাল প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বিশাল সবুজে ঘেরা পুরো এলাকার মাঝেও থাকবে বিশাল জলাধার ও আধুনিক নির্মাণশৈলীর জাদুঘর থেকে শুরু করে সুইমিং পুল, জিমনেশিয়াম, নাটকের মঞ্চ, আধুনিক কার পার্কিং সমৃদ্ধ সিনেপ্লেক্সযুক্ত মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থাপনা। শতকরা ৭০ ভাগ সবুজে ঘেরা এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে পুরান ঢাকার একমাত্র বৃহত্তম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নে তৈরি করা হবে এলাকার সবচেয়ে বড় উদ্যান ও পার্ক। ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপশি কারা এলাকাকে বিনোদনের অন্যতম স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে। সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নে ৬শ’ ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২০-এর ডিসেম্বরে। প্রায় চল্লিশ একর জমিতে স্থাপিত পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকার মধ্যে ২১ দশমিক ৯০ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ স্থানটিতেই পুরান মূল কারাগারটি তৈরি করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পাল্টে যাওয়ার পর দেশ-বিদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ জানতে ও স্বচক্ষে দেখতে আসবেন রাজধানী ঢাকা তথা পরাধীন বাংলার ঘৃণ্য ও মুক্তিকামী লক্ষ কোটি মানুষের বঞ্চনার ও কারাবরণের নানা ইতিহাস। কেন্দ্রীয় কারাগারটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকারী দেশপ্রেমিক অসংখ্য বাঙালীর ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত স্থান। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন হতে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত আন্দোলনকারী অসংখ্য দেশপ্রেমিক এই কারাগারে কারাবরণ করেছেন। কাটিয়ে দিয়েছেন জীবন যৌবনের মূলবান সময়। পুরান কারাগারের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ভবন তথা স্থাপনা দেখে ও তার ইতিহাস পড়ে জানতে পারবেন ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে সর্বশেষ মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বীর বাঙালীদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কারাগারে আটক হওয়া রাজবন্দীদের ইতিহাস। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পতনের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে ১৭৮৮ সালে একটি ক্রিমিনাল ওয়ার্ড স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ কারাগারটির প্রায় ২৩০ বছর সমৃদ্ধ ও প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। প্রকল্পে বর্তমানের সকল ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা হবে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা কারাগারের রোজনামচা বইয়ে উল্লিখিত সকল পুরান স্থাপনাই সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সকল স্থাপনা সংরক্ষণ করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উদ্যোগে তিন পর্বে গ্রহণ করা এ প্রকল্পটির প্রথম পর্বের মূল কাজ বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা ঢাকা সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সহযোগিতায় থাকবে কারা অধিদফতর, ই এন সিজ ব্রাঞ্চ ও ওয়ার্ক ডাইরেক্টরেট। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। তবে নির্মাণের পর সার্বিক কর্মকা- পরিচালনার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে প্রকল্পের অবকাঠামো বুঝিয়ে দেয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারটি থেকে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে নির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সকল বন্দীদের একদিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকেই কারাগারের স্থানটিকে কাজে লাগাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশেষ উদ্যোগ নেয় সরকার। কারাসূত্র জানায়, প্রকল্প এলাকাটি থাকবে সুবিশাল প্রাচীর ঘেরা। বর্তমানে মূল পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের স্থানটিতেই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন ও সবুজে ঘেরা এই প্রকল্প এলাকায় যে কোন নাগরিক ঘুরে দেখতে চাইলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করতে হবে। এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কাজের জন্য থাকবে কোন প্রকার ফি ছাড়াই দেখার ও ঘুরতে পারার সুযোগ। প্রকল্পের মোট এলাকার ৭০ ভাগই থাকবে সবুজায়ন তথা সবুজ বেষ্টিত। আর এর বাইরে বর্তমানে থাকা সকল প্রকার জলাধার সংরক্ষণ করারও নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাকবে বিশাল পার্ক, সকাল-সন্ধ্যা হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে। ব্যায়াম করার জন্য থাকবে জিমনেশিয়াম ও সুইমিং পুল। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের সমন্বয় ঘটাতে থাকবে বিশেষ ফুডকোর্ট। থাকবে বিশেষ কার পার্কিং ব্যবস্থাসহ মাল্টিপারপাস শপিং কমপ্লেক্সসহ পুরান ঢাকা তথা সারাদেশ থেকে আসা দর্শনার্থীদের বিনোদনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা। উন্মুক্ত নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে সেখানে নির্মাণ করা হবে বিশেষ মঞ্চ। প্রকল্প সূত্র জানায়, সরকারী জমির পরিকল্পিত ব্যবহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২১ দশমিক ৯০ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ৬০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। একনেক সভা শেষে প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রকল্প সূত্র জানায়, কারাগারের প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কারা অধিদফতর। এর আগে কারা অধিদফতর কর্তৃক জোন এ বি ও সি তিন ভাগে ভাগ করে কোন্ কোন্ স্থাপনা বা ভবন রাখা যায় বা কোন্ কোন্ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা প্রয়োজন তা পরিকল্পনামাফিক নির্ধারণ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কারা), কারা মহাপরিদর্শক, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিভাগের স্থাপত্য বিভাগের প্রফেসর ড. শায়ের গফুর ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান ড. ইশরাত ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও পরিকল্পনা বিভাগের প্রফেসর আকতার মাহমুদ ও প্রতœতত্ত্ব বিভাগের ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি প্রফেসর আবু সাঈদ এম আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিল্পী হাসেম খান ও স্থপতি রবিউল হোসেনকে রাখা হয়। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তীতে কি কি স্থাপনা তৈরি করা প্রয়োজন তার জন্য উন্মুক্ত ডিজাইন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারীকে নগদ এক লাখ টাকা প্রদান করা হয়। উক্ত নক্সা অনুযায়ীই প্রকল্পের সকল অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, তিনটি জোনের মধ্যে জোন ‘এ’ তে সাড়ে তিন একর জমিতে মাল্টিপারপাস হল, আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন কনভেনশন সেন্টার, অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন সিনেপ্লেক্স, পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সংবলিত বিশেষ ফুডকোর্ট স্থাপন, সুইমিং পুল তৈরি, ৩শ’ গাড়ির পার্কিং সুবিধাসম্পন্ন কার পার্কিং ব্যবস্থা চালু, ওয়াটার বডি ও ব্যাংক স্থাপন করা হবে। জোন ‘বি’ তে এক দশমিক ৪০ একর জমিতে বুক স্টোর, ফুলের দোকান, ভূগর্ভস্থ কার পার্কিং, বিদ্যমান ওয়াটার বডি সংযুক্ত থাকবে। এছাড়া জোন ‘সি’ তে মোট ১৭ একর জমিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, জাতীয় চার নেতা কারা স্মৃতি জাদুঘর, ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা ও উদ্যান তৈরি করা হবে। এ ছাড়াও প্রকল্পে কারাগার নিয়ে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে। এ ছাড়া ৬ তলার মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স নির্মাণ ও চক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। কারা বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের পাশাপাশি পুরান ঢাকার নাগরিকদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার সুবিধার্থে আধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা সম্পন্ন ইংরেজী ভার্সনের একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। এছাড়া এ সংশ্লিষ্ট অভ্যন্তরীণ সকল রাস্তা ও ফুটপাথ সংস্কার করা হবে। অপর একটি সূত্র জানায়, সকাল বেলায় মর্নিং ওয়াকের জন্য ভোর থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত প্রাতঃভ্রমণের জন্য খোলা রাখা হবে। এরপর সকাল নয়টা থেকে বেলা পাঁচটা পর্যন্ত জাদুঘর ও পার্ক খোলা রাখা হবে। এছাড়া বয়স্ক ও নারীদের জাদুঘর ভ্রমণের জন্য বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থাও রাখা হবে। জানা গেছে, পার্কে প্রবেশের আয় দিয়ে ম্যানেজমেন্ট ব্যয় নির্বাহ করা হবে। মূলত এক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে বিনোদন তথা ইতিহাস সংরক্ষণের অন্যতম স্থান হিসেবে পুরান ঢাকার চেহারাই অনেকটা বদলে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারামহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জমিটির সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য সরকার একটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই কারা এলাকাটিকে ঘিরে পুরান ঢাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি বসবাসকারী নাগরিকসহ সমস্ত ঢাকাবাসীর বিনোদনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। তাই এ কারাগারটির সঙ্গে জড়িত সকল প্রকার ঐতিহাসিক স্থাপনা তথা ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও কারাগারের ইতিহাস সংরক্ষণের পাশাপাশি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে সরকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। মোট জমির ৭০ ভাগ সবুজে ঘেরা এ প্রকল্প এলাকার মাঝে থাকবে বিশাল জলাধার ও আধুনিক নির্মাণ শৈলীর বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও জাতীয় চার নেতা কারা স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া থেকে শুরু করে সুইমিং পুল, সকাল-সন্ধ্যা হাঁটার জন্য প্রায় ২৭ হাজার বর্গমিটার ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে। এর বাইরে জিমনেশিয়াম, নাটকের মঞ্চ, আধুনিক কার পার্কিং সমৃদ্ধ সিনেপ্লেক্সযুক্ত মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের বিশাল ফুডকোর্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও কারা কর্মকর্তা কর্মচারী ও এলাকাবাসীর সন্তানদের সুবিধার্থে অতি উন্নত মানসম্পন্ন একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও দুটি মসজিদ নির্মাণ করা হবে। কারা মহাপরিদর্শক বলেন, সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নে প্রায় ৬০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ ডিসেম্বর ২০২০ এর ডিসেম্বরে। প্রায় চল্লিশ একর জমিতে স্থাপিত পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকার মধ্যে ২১ দশমিক ৯০ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। একনেকে এ প্রকল্পটি পাস হওয়া মাত্রই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক অতি দ্রুত আমরা এর বাস্তবায়ন কাজ শুরু করব। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে পুরান ঢাকার একমাত্র বৃহত্তম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নে তৈরি করা হবে এলাকার সবচেয়ে বড় উদ্যান ও পার্ক। কারা এলাকাকে বিনোদনের অন্যতম স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে।
×