ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ শেখ হাসিনা তিতাস সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আজ শেখ হাসিনা তিতাস সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ রবিবার তিতাস নদীর ওপর নির্মিত শেখ হাসিনা তিতাস সেতুর (ওয়াই সেতুর) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সেতু চালু হওয়ায় পাল্টে যাবে চারদিকে নদীবেষ্টিত বাঞ্ছারামপুরের দৃশ্য। নদী পাড়ি দেয়ার অপেক্ষার প্রহর আর গুনতে হবে না। সেতুটি ওয়াই আকৃতির তাই প্রথমে এর নাম ওয়াই রাখা হলেও পরে শেখ হাসিনা তিতাস সেতু নাম রাখা হয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের লেভেলিংয়ের কাজ। ধোয়ামোছা, ছোটখাটো ত্রুটিবিচ্যুতি সারাই ও রঙের কাজ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নাভানা বিল্ডার্সের আওতায় ২০১১ সালের ১৬ জুন সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতুর দৈর্ঘ্য ৭৭১ দশমিক ২০ মিটার, প্রস্থ ৮ দশমিক ১০ মিটার। সেতুতে পাইল হয়েছে ৩০২টি। সেতু নির্মাণে খরচ ধরা হয় ৮০ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। জমি অধিগ্রহণে সাড়ে ৯ কোটি টাকা খরচ হয়। তিতাস নদীর ওপর নির্মিত সেতু চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগে কমে আসবে দুই-তিন ঘণ্টা সময়। সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব) তাজুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। এদিকে রংপুর থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর ওপর নবনির্মিত গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বহুল প্রত্যাশিত এই সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিস্তা নদীর ওপর মহিপুর-কাকিনা পয়েন্টে এলজিইডির বাস্তবায়নে নবনির্মিত ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই সেতুটি নির্মাণকালে দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু হিসেবে পরিচিতি পায়। কিন্তু পরবর্তিতে রংপুরের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও গঙ্গাচড়া উপজেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবরূপ দেয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তার নামে নতুন এই সেতুর নামকরণের প্রস্তুাব করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। ১৯ জুন রংপুর জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু নামকরণের প্রস্তাব করলে উপস্থিত সকলে তা সমর্থন করেন। পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নিকট লিখিতপত্র আবেদন জানান প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা । এদিকে, নবনির্মিত গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন জেলা প্রশাসন। সেতুর দুই পাশে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু উল্লেখ করে ফলক লাগানো হয়েছে। লাল-সাদা রঙের চাকচিক্যে সেতুর ওপর উড়ছে রঙিন পতাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে সেতুর আশপাশের এলাকাজুড়ে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার ফেস্টুর। সেতুর উত্তরপ্রান্তে বিশাল প্যান্ডেলে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জানান, সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মহিপুর-কাকিনার তিস্তা নদীতে নির্মিত ও গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
×