ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে, কমেছে দাম

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 রাজধানীর বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে, কমেছে দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে ইলিশ মাছের সরবরাহ। একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে স্বাদের প্রিয় এ মাছের দাম। শুক্রবার সকালে তাই মাছের বাজারগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ভোক্তাদের ইলিশ মাছ চাই-ই চাই। অপেক্ষাকৃত ছোট সাইজের (৪০০-৫০০ গ্রাম) দাম কম হওয়ায় ক্রেতাদের চোখ ছিল এ সব মাছের দিকে। সাধ্যমতো বেশি দাম দিয়ে আবার বড় মাছও কিনতে দেখা গেছে ভোক্তাদের। শীতের সবজির দাম একটু চড়া। এছাড়া চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও আটার মতো নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কমেছে পেঁয়াজ ও আদার দাম। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফার্মগেট কাঁচা বাজার ও মোহাম্মপুর টাউন হল মার্কেট ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, ভরা মৌসুমের একেবারে শেষের দিকে নদী ও সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছের সরবরাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ কারণে মাছের দাম কিছুটা কম বলেও দাবি করছেন তারা। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, এ বছর মাছের দাম বেশি। গতবারের তুলনায় সব ধরনের মাছের দাম দেড় থেকে দ্বিগুণ। এ কারণে সারাবছরই ভোক্তাদের বেশি দাম দিয়ে মাছ কিনতে হয়েছে। কাপ্তান বাজারে ইলিশ মাছ কিনছিলেন, র‌্যাঙ্কিন স্ট্রিটের বাসিন্দা আশরাফ আলী। তিনি বলেন, বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশ মাছের সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু বড় আকারের মাছের দাম খুব বেশি। প্রতিটি ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকায়। এককেজি সাইজের প্রতিটি ইলিশ ১২শ’ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। যদিও ছোট সাইজের মাছের দাম কিছুটা কম বলে মনে হচ্ছে। তিনি জানান, ইলিশ মাছের পাশাপাশি দেশী জাতীয় অন্যান্য মাছের দাম চড়া। বিশেষ করে চিংড়ি মাছের দাম খুব বেশি। প্রতিকেজি চিংড়ি মানভেদে ৬০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই, কাতলা, মৃগেল, পুঁটি, টেংরাসহ অন্যান্য মাছ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশে মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও দাম কমছে না। ওই বাজারের ইলিশ মাছের বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। শীঘ্রই এ মাছের দাম কমবে। তিনি জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। এদিকে, রাজধানীর বাজারে সবজির দর বেড়েছে। এখন বেশির ভাগ সবজি কেজিপ্রতি ৪০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। বিশেষ করে শীতকালীন সবজি কেজিপ্রতি বাড়তি দর ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। নতুন আসা শিমের দর আরও চড়া, প্রতিকেজি ১২০-১৩০ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি বরবটি ৬০-৭০ টাকা, দেশী শসা ৬০-৭০ টাকা, মাঝারি লাউ প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা ও লম্বা বেগুন ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার কাওরান বাজারের খুচরা দোকানে এসব সবজির দর ৪০-৬০ টাকা। কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা জসিম জনকণ্ঠকে বলেন, গত সপ্তাহে চিচিঙ্গা ২০-২৫ টাকা ছিল, এখন সেটা ৪০ টাকা। ৩৫ টাকার শসা এখন ৫০ টাকার নিচে বিক্রি করা যায় না। কাঁচা পেঁপে ১৫ টাকাও বিক্রি হয়েছে, এখন সেটা ২৫-৩০ টাকা। তিনি বলেন, এখন চাষিরা বর্ষার সবজির গাছ তুলে ফেলে শীতের সবজি আবাদের প্রস্তুতি নেবেন। এতে সবজির সরবরাহ কমবে এবং দাম বাড়তি থাকবে। এছাড়া বাজারে দেশী পেঁয়াজ মানভেদে কেজিপ্রতি ৪০-৫৫ টাকা, আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়। পাইকারি দোকানে আদার দর কিছুটা কমেছে। সেখানে প্রতিকেজি চীনা আদা ১১০-১২০ টাকা ও মিয়ানমারের আদা ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারেও দাম কিছুটা কমেছে।
×