ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

৯ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুত খাদ্যসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে ॥ শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 ৯ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুত খাদ্যসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে ॥ শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, গত ৯ বছরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-বিদ্যুত ও খাদ্য উৎপাদনসহ দেশে সর্বক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, এত অল্প সময়ে এ পরিবর্তন পৃথিবীর কোন দেশে হয়নি। বাংলাদেশ এখন সকল ক্ষেত্রে ভাল’র উদাহরণ। আমাদের মান অনেক বাড়াতে হবে। তবে মান বাড়ছে না, একথা ঠিক নয়। এসডিজি-৪ এর লক্ষ্য হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। মান বাড়ানো এখন সারা দুনিয়ার চ্যালেঞ্জ। আমরা সে কাজটাই করছি। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শিক্ষামন্ত্রী ডিআরইউ সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে যারা কৃতী শিক্ষার্থী হিসেবে সংবর্ধনা পেয়েছেন তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন এবং তারা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে ও দক্ষতায় নিজেদের বিকশিত করে দেশের সেবায় কাজ করবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আধুনিক ও দক্ষ নাগরিক তৈরির পাশাপাশি আমরা ভাল মানুষ তৈরি করতে চাই। ডিআরইউ সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোঃ গোলাম ফারুক। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী এবং সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী। সংবর্ধনাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করেন এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত তাবাসসুম মোস্তফা অথই এবং এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আতিয়া ফাইরুজ চৌধুরী। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য দারিদ্র্যের অবসান ঘটিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে লক্ষ্য অর্জনে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করতে তাদের যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে হবে। আসন্ন জেএসসি পরীক্ষা নবেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, জাতির ভবিষ্যতের স্বার্থে সকলের সচেতনতা প্রয়োজন। নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণের মাধ্যমে যেকোন ধরনের অনিয়ম থেকে অভিভাবক-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে এবং এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী কৃতী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমাদের এ সাফল্য অব্যাহত রাখতে হবে। তোমরা এ দেশের সম্ভাবনা। আগামী দিনের যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠবে তোমাদের মধ্য থেকেই। প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকারের কঠোর পদক্ষেপে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে। একটি মহল প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও উদ্বেগ ছড়ানোর অপচেষ্টা চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসএসসিতে ১৭ জন এবং এইচএসসিতে ৬ জন সর্বমোট ২৩ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও বৃত্তি প্রদান করা হয়। এরা সবাই ডিআরইউ সদস্যদের সন্তান। স্কুল-কলেজের বার্ষিক পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঃ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে স্কুল-কলেজের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে ফল ঘোষণা করাকে যৌক্তিক মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার জন্য ২০১৮ সালের শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। এ অবস্থায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ যদি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হয় তবে বার্ষিক পরীক্ষাগুলো আগেভাগেই শেষ করা দরকার। সেক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত শিক্ষাপঞ্জি ২০১৮ অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষার নির্ধারিত সূচীতে পরিবর্তন আনতে হবে। তবে পরীক্ষার সময়সূচীর বিষয়ে অধিদফতর বা শিক্ষাবোর্ড এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা দেয়নি। বিধান অনুযায়ী প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষকদের নির্বাচনী কাজে যুক্ত থাকতে হয়। সেজন্য শিক্ষকদের কথা ভেবেও পরীক্ষা এবং ফল প্রকাশের কাজটি আগে-ভাগে শেষ করার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর এবং কলেজের বার্ষিক পরীক্ষা ২৪ নবেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে।
×