ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের উন্নয়ন কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের উন্নয়ন কাজে বাধা  দেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নে চলমান উন্নয়ন কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দেয়ায় অভিযুক্ত চক্রটি রাতারাতি কলাগাছ লাগিয়ে চলাচলের পথ দখলে নিয়েছে। এ অবস্থায় থমকে গেছে রেললাইন প্রকল্পের চলমান উন্নয়ন কাজ। এদিকে চাঁদা দাবির এ ঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড কোম্পানি লিমিডেটের ব্যবস্থাপক মোঃ মেরাজ হোসেন বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দিয়েছেন। এতে আসামি করা হয়েছে হারবাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকার গোলাম কাদের, ফজলুর রহমান, শাহ আলম, শামসুল আলম, আবদুল মান্নান, আবদুল মালেকসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে। জাহারে বাদী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড কোম্পানি লিমিডেটের ব্যবস্থাপক মোঃ মেরাজ হোসেন দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের অধীনে তাদের প্রতিষ্ঠানটি দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন রেললাইন প্রকল্পের আওতায় ৫২ কিলোমিটার নির্মাণ কাজের নিয়োজিত ঠিকাদার। তারা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনে কাজটি বাস্তবায়ন করছে। কাজের শুরুতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নির্মাণসামগ্রী ও মালামাল মজুদ করার জন্য হারবাং ইউনিয়নে বিএস ১৭৬ নম্বর খতিয়ান থেকে সৃজিত বিএস ৩৬১১ নম্বর খতিয়ানের বিএস ২৬২৩ ও ২৬২৮ দাগের মালিক জগুনা বেগম থেকে রেজিস্ট্রিমূলে ২৫ শতক জায়গা কেনা হয়। তিনি আরও বলেন, ওই জায়গার মধ্যে বর্তমানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দখলে রয়েছে মাত্র ১১ দশমিক ৫২ শতক জমি। এ জমির বিপরীতে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আতাউর রহমান ভুঁইয়ার নামে নামজারি জমাভাগ খতিয়ানও সৃজিত হয়েছে। তবে এখনও ১৩ দশমিক ৪৮ শতক জমি আমাদের দখলে নেই। তিনি বলেন, আমাদের অনুকূলে থাকা ১১ দশমিক ৫২ শতক জমিতে ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নির্মাণসামগ্রী ও মালামাল মজুদ করতে ডিপো নির্মাণ এবং মালামাল পরিবহনে যানবাহন চলাচলে সড়ক তৈরি করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক অভিযোগ করে বলেন, জগুনা বেগমের কাছ থেকে জমি কেনার সময় কোন ওয়ারিশ না থাকলেও কিছুদিন ধরে স্থানীয় একটি মহল ওয়ারিশ পরিচয় দিয়ে আমাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। তাদের কথামতো টাকা না দেয়ায় গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালামাল পরিবহনে যানবাহন চলাচলের জন্য তৈরিকৃত সড়কটি দখলে নিয়ে রাতারাতি কলাগাছ রোপণ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে চলাচলের সড়কে বসতিও নির্মাণ করেছে অভিযুক্তরা। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে গেছে রেললাইন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ। এটি তদন্তের জন্য এসআই মোঃ আলমগীরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান চকরিয়া থানার ওসি।
×