ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাফ অনুর্ধ-১৫ এবং সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ

গ্রুপিং ড্র, নাকি তামাশা!

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গ্রুপিং ড্র, নাকি তামাশা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে একই সঙ্গে দুটি ফুটবল টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। একটি সাফ অনুর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ, অন্যটি সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ। সাফ অনুর্ধ-১৫ পুরুষ ফুটবলের ‘এ’ গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ। এই গ্রুপের অন্য দলগুলো হলো নেপাল, মালদ্বীপ ও পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা। ২৫ অক্টোবর থেকে ৩ নবেম্বর পর্যন্ত নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্টটি। গ্রুপপর্বে উদ্বোধনী দিনে মালদ্বীপ, ২৭ অক্টোবর পাকিস্তান এবং ২৯ অক্টোবর নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ১ নবেম্বর দু’টি সেমিফাইনাল এবং দু’দিন পর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। নেপাল না শ্রীলঙ্কা, সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের স্বাগতিক দেশ হবে কে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। তার আগেই হয়ে গেল সাত দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টের ড্র। ১৭-২৬ ডিসেম্বর মাঠে গড়াচ্ছে এই টুর্নামেন্টটি। প্রতিযোগিতার ‘এ’ গ্রুপে বর্তমান রানার্সআপ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তান। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপে খেলছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। যেহেতু নেপালে সাফ অনুর্ধ-১৫ পুরুষ ফুটবল টুর্নামেন্টটি হচ্ছে তাই সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) চাচ্ছে শ্রীলঙ্কাই সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়শিপের আয়োজক হোক। এই দু’টি দেশই টুর্নামেন্টের আয়োজক হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যা চূড়ান্ত করা হবে চলতি মাসের শেষদিকে। বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে এই টুর্নামেন্টের গ্রুপিং নির্ধারণের জন্য ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু ও ভুটান ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক বিন্দু দর্জি। সাফ অনুর্ধ-১৫ টুর্নামেন্টকে ঘিরে বাংলাদেশ প্রস্তুতি শুরু করেছে অনেক আগেই। নীলফামারীতে প্রায় দুই মাসের আবাসিক ক্যাম্প করেছে ছেলেরা। ক্যাম্প শেষে নেপাল যাবে তারা। অনুর্ধ-১৫ দলের ফুটবলের সর্বশেষ এই আসরে তৃতীয় হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার তাদের লক্ষ্য ফাইনাল। তবে প্রশ্ন উঠেছে যেখানে সাফের সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশের, সেখানে কেন সাফের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে বারবার সুবিধা নিতে পাবে না বাংলাদেশ? কেন তাদের বারবার পড়তে হয় কঠিন এবং চার দলের গ্রুপে? বৃহস্পতিবারও এমনটাই হয়েছে। এরজন্য কাঠগড়ায় ওঠানো যেতেই পারে হেলালকে। কেননা তার বিরুদ্ধে বহু পুরনো অভিযোগÑ তিনি সাফের সবচেয়ে ক্ষমতাধর-শক্তিশালী দেশ ভারতকে চটাতে চান না, সবসময়ই দেশটির সুনজরে থাকতে আকুল এবং দীর্ঘসময়ের জন্য নিজের পদটি আঁকড়ে ধরে রাখতে মরিয়া। আর তারই ফল হচ্ছে বৃহস্পতিবারের এই বিতর্কিত-রহস্যজনক গ্রুপিং ড্র, যাকে ক্ষুব্ধ ফুটবলপ্রেমীরা বলছেন ‘তামাশার ড্র!’ উল্লেখ্য, পুরুষদের মতো মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও চার দলের গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষও হুবহু সেই একই দলÑ নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তান। ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাকি তিনজনের মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধেও আছে নানা অভিযোগ। বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছেÑ তিনি নিজের চেহারা বা কথা মিডিয়ায় প্রচার করতে ‘বিশেষ পন্থা’ অবলম্বন করেন। আর সোহাগ নাকি হুমকি দিয়েছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায়কে। মোট কথা বিতর্কিত এই তিন ব্যক্তির হাতেই বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে তামাশার ড্র!
×