ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঝলক

তিন শিংয়ের ষাঁড় বিশ্বাস করুন আর নাই করুন। এবার ব্রাজিলে একটি তিন শিংওয়ালা বদরাগী ষাঁড়ের খোঁজ মিলেছে। এই ষাঁড়ের ভয়ে তটস্থ আশপাশের নিরীহ ষাঁড় ও গাইগুলো। শুধু তাই নয়, বদরাগী এই ষাঁড় আশপাশের কিছু মানুষকেও গুঁতো মেরে আহত করেছে। ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি গরুর খামারে এই গু-া ষাঁড়ের দেখা মিলেছে। সাধারণত ষাঁড় গরুর মাথার উভয়পাশে দুটি শিং থাকে। কিন্তু এই ষাঁড়ের মাথার ঠিক মাঝ বরাবর আরও একটি ধারালো শিং রয়েছে। এই শিং দিয়েই এটি অন্যান্য গরুকে প্রচ-বেগে গুঁতো মারে। একসঙ্গে খেতে দিলে এই ষাঁড় নিজের খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য গরুকে পাশে ঘেঁষতে দেয় না। আবার এটি খামারের রাখালের কথাও শোনে না। ইতোমধ্যে কয়েক নীরিহ রাখাল এটির গুঁতোর ভয়ে চাকরি ছেড়েছে। গুঁতো খাওয়ার পর কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তিন শিংওয়ালা এই ষাঁড়ের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হওয়ার পর কয়েকটি দেশের প্রাণিবিদ ষাঁড়টির তৃতীয় শিং গজানোর কারণ নিয়ে গবেষণার আগ্রহ দেখিয়েছে।-পিকেল নাইন ডটকম অবলম্বনে ৭৩ হাজার বছর আগের ছবি দক্ষিণ আফ্রিকায় ৭৩ হাজার বছর আগে আঁকা একটি চিত্রকলার সন্ধান পাওয়া গেছে। এই ছবিকে মানুষের হাতে আঁকা সর্বপ্রাচীন চিত্রশিল্প বলে ধারণা করা হচ্ছে। একটি ছোট্ট প্রস্তরখ-ের ওপর ছবিটি আঁকা। ৭৩ হাজার বছর আগে কোন চিত্রশিল্পী উজ্জ্বল লালচে রঙের মিশ্রণ ব্যবহার করে পাথরের ওপর স্কেচটি আঁকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলের ব্লমবোস গুহায় খনন কাজের সময় স্কেচটি পাওয়া যায়। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা জার্নাল নেচার সাময়ীকিতে প্রকাশিত হয়। গবেষণা প্রবন্ধে স্কেচটিকে মানুষের হাতে আঁকা পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন ছবি বলে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, একজন প্রাচীন চিত্রশিল্পী খড়িতে লালচে রং মিশিয়ে ছবিটি আঁকেন। নরওয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই গবেষণা ও খনন কাজ পরিচালনা করেন। এ বিষয়ে বিশ্বখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ ক্রিস্টোফার হেন্সহিলউড বলেন, ছবিটির মর্মার্থ বোঝা খুবই কঠিন। তিনি বলেন, খনন কাজে অংশ নেয়া প্রতœতত্ত্ববিদরা প্রথমে এটিকে ছবি বলতে নারাজ ছিলেন। কারণ, তারা প্রথমে কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। তবে গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, প্রাচীন ওই চিত্রশিল্পী এটির মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। এই ছবি নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মত দেন ক্রিস্টোফার হেন্সহিলউড। -বিবিসি অবলম্বনে
×