ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শতভাগ বিদ্যুতায়নে আরও দু’মাস ॥ সংসদে প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

শতভাগ বিদ্যুতায়নে আরও দু’মাস ॥ সংসদে প্রতিমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, একমাত্র বিদ্যুত মন্ত্রণালয় সারাদেশের তিন শ’ সংসদীয় এলাকায় নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে বিদ্যুতায়নের কাজ করেছে। এখন পর্যন্ত শতকরা ৯২ ভাগ এলাকায় বিদ্যুত পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি, বাকিটাও দ্রুতই শেষ করা যাবে। আমাদের টার্গেট ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা। এর জন্য আর দুই-এক মাস সময় লাগবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, আমাদের টার্গেট ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, যতদ্রুত সম্ভব কাছাকাছি চলে যাব। আমাদের প্রতিটি এলাকায় খাল, বিল অতিক্রম করে নতুন ট্রান্সফর্মার, মাইলকে মাইল তার টেনে নতুন গ্রিড লাইন করে সীমিত অর্থের মধ্যে কাজ করাটা খুবই চ্যালেঞ্জ। আগামীতে আমরা চাইব বিদ্যুত খাতে অর্থ বেগবান করার জন্য অর্থমন্ত্রী আন্তরিক হবেন। এজন্য সকল সংসদ সদস্যকে একত্রিতভাবে কাজ করতে হবে। সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশে বর্তমানে সরকারী খাতে স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৯৮৬ মেগাওয়াট এবং বেসরকারীখাতে স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৫৭ মেগাওয়াট। প্রতিদিন চাহিদার ওপর ভিত্তি করে মেরিট অর্ডার ডেসপাস অনুযায়ী বিদ্যুত কেন্দ্রসমূহ হতে বিদ্যুত উৎপাদন করা হয়। সরকারী দলের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী জানান, রাজধনীর ঢাকা দক্ষিণ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বর্জ্য হতে ৬০-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে বেসরকারীভাবে উদ্যোক্তা নিয়োগের মাধ্যমে আইপিপি হিসেবে বর্জ্য হতে বিদ্যুত উৎপাদন পরিকল্পনার আওতায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন হতে ৩৫ মেগাওয়াট এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন হতে ৩৫ মেগাওয়াট বজ্য হতে বিদ্যুত উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বর্জ্য সরবরাহ ও বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান বিষয়ে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড এবং সিটি কর্পোরেশনের মাঝে এমওইউ স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকারী দলের অপর সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর অপর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা সরকারী সংস্থাগুলোর কাছে বিদ্যুত বিভাগের মোট এক হাজার ৪৩৫ কোটি ৩১ লাখ টাকার বিদ্যুত বিল বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে সরকারী বিভাগে ৬৬৮ কোটি এবং আধাসরকারী/ বেসরকারী খাতে ৭৬৬ কোটি টাকার বিদ্যুত বিল বকেয়া রয়েছে। বিল খেলাপী গ্রাহকদের তালিকা প্রণয়নপূর্বক তা আদায়ের পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রয়োজনে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের কাজ চলছে।
×