স্টাফ রিপোর্টার, যশোর ॥ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের প্রতিনিধিদের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও পাসপোর্ট যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতে দুই দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা একমত পোষণ করেছেন। বুধবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভারতের পেট্রাপোল বন্দর অডিটোরিয়ামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা, বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সহসভাপতি নুরুজ্জামান, সেক্রেটারি ইমদাদুল হক লতা, সাবেক সিএ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দীন, সিএ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান, সেক্রেটারি নাসির উদ্দীন, বন্দরের পণ্য খালাসকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রপ কমিউনিকেশনের প্রতিনিধি ওহিদুজ্জামান ওহিদ, এসআইএস লজেস্টিকের প্রতিনিধি সুলতান আহম্মেদ বাবু, ৮৯১ বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গনি প্রমুখ। ভারতের পক্ষে পেট্রাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রমেশ্বর মিনার নেতৃত্বে ছিলেন, অলইন্ডিয়া মটর কংগ্রেস ও ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহেন্দ্র সিং, অলইন্ডিয়া মটর কংগ্রেসের বঁনগা শাখার সেক্রেটারি দিলিপ দাস, পেট্রাপোল সিএ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজু গোস্বামী, পেট্রাপোল বন্দর সিএ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনে সেক্রেটারি কার্তিক চন্দ্র প্রমুখ।
জানা যায়, বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৩ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম থেকেই ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পাদন ও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। এতে প্রশাসনিক সেবা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক ছিল। এসব সমস্যা সমাধান নিয়ে দুই দেশের প্রশাসনিক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতে দুই দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা একমত পোষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এদিকে বাংলাদেশী প্রতিনিধি দল দুপুরে বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে পৌঁছালে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রমেশ্বর মিনাসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তাদের অভ্যর্থনা জানান। পরে অতিথিদের পেট্রাপোল বন্দর অডিটোরিয়ামে বৈঠকস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। বৈঠক শেষে বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ফিরে আসেন।
