ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেক্সিকোয় পুনরুত্থানের আশা ম্যারাডোনার

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মেক্সিকোয় পুনরুত্থানের আশা ম্যারাডোনার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সর্বকালের সেরা পেলে নাকি দিয়েগো ম্যারাডোনা? এই প্রশ্নে সারাবিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত। কিন্তু কিংবদন্তি আর্জেন্টাইন তারকা ম্যারাডোনা কোচিং ক্যারিয়ারে তেমন সুবিধা করতে পারছেন না। ১৯৯৪ থেকেই তিনি কোচ হিসেবে কাজ শুরু করলেও অভিজ্ঞতাটা বিস্বাদের। এবার নতুন করে তিনি মেক্সিকোর দ্বিতীয় বিভাগের দল ডোরাডোসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর কাম কোচ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এখান থেকে নিজের কোচ পরিচয়টার পুনরুত্থান আশা করছেন ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনা। ডোরাডোসের কোচ হিসেবে ম্যারাডোনার নাম শোনা যাওয়া মাত্র সারাবিশ্বে অগুণতি ফুটবল ভক্ত-সমর্থকের চোখ কপালে উঠে গেছে। কারণ ক্লাবটি যে সিনালোয়া রাজ্যে অবস্থিত সেই অঞ্চল কুখ্যাত হয়ে আছে ড্রাগ মাফিয়াদের কারণে। মাদক সাম্রাজ্যের একটি ক্লাবে তার যাওয়া নিয়েই যত আলোচনা। কারণ ব্যক্তি জীবনে মাদক সেবন, মাদকাসক্তি এবং আচ্ছন্ন থাকার বিষয়টি বেশ জড়িয়ে আছে ম্যারাডোনার নামের সঙ্গে। কিন্তু ম্যারাডোনা ডোরাডোসের দায়িত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এটিকে নিজের নতুন শুরু বলে দাবি করেছেন। অতীতের সব ঘটনা মুছে, দীর্ঘ অসুস্থতাকে পাশ কাটিয়ে এখন পুনরুত্থানের স্বপ্ন তার। ম্যারাডোনা বলেন, ‘অসুস্থ থাকার সময় আমি যা হারিয়েছি সেটাই আমি ডোরাডোসকে দিতে চাই। ১৪ বছর আমি অসুস্থ ছিলাম। এখন আমি সূর্যটা ভাল করে দেখতে চাই। আমি রাতে ঘুমাতে চাই। আমি এমনকি ঠিকমতো ঘুমাতেও পারতাম না। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম বালিশ জিনিসটা কি! আর সে কারণেই আমি ডোরাডোসের প্রস্তাবটা গ্রহণ করেছি।’ মেক্সিকোয় খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হয়েছে ম্যারাডোনার। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে এই মেক্সিকোর মাটিতেই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় বিভাগের এই ডোরাডোসের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়াতে সবাই অবাক হয়েছেন। কারণ, ডোরাডোস চলমান লীগে ১৫ দলের মধ্যে এখন ১৩ নম্বর অবস্থানে আছে। আর ক্লাবের মালিকপক্ষের মাদক পাচারে জোরালোভাবে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে। কিন্তু ম্যারাডোনা ফুটবলেই তার সব মনোযোগ নিবিষ্ট করতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে দীর্ঘ সময় কাটাতে চাই। মানুষ অনেক কিছুই বলতে পারে। কিন্তু আমি ক্রমেই নিচের দিকে ধাবিত হচ্ছিলাম, আমার উঁচু শির নিচু হচ্ছিল এবং পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। ফুটবল হচ্ছে সামনে অগ্রসর হওয়ার পদক্ষেপ। আমার কন্যাদের ধন্যবাদ তারা আমার মধ্যে সবকিছুর পরিবর্তন ঘটিয়েছে।’
×