ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চার সেমিফাইনালিস্ট দলের ভাবনা...

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চার সেমিফাইনালিস্ট দলের ভাবনা...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোন ফুটবল আসরের শেষ হয় ফাইনাল, তাহলে সেমিফাইনাল হচ্ছে ‘শেষের শুরু!’ আজ বিকেল ৪টায় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সেই শেষের শুরুই মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। যাতে মুখোমুখি হবে যথাক্রমে নেপাল-মালদ্বীপ এবং ভারত-পাকিস্তান। শেষ চারের দ্বৈরথের আগে এই চার দলের প্রধান প্রশিক্ষক ও অধিনায়কের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনের কনফারেন্স রুমে এক ‘প্রি ম্যাচ প্রেস কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের সহকারী প্রশিক্ষক শানমুগাম ভেঙ্কটেশ, পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক জোসে এন্টোনিও নগুয়েরা, অধিনায়ক সাদ্দাম হোসেন, মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক পিটার সেগার্ট, অধিনায়ক মোহাম্মেদ মুজুতাহাজ এবং নেপাল জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক বালগোপাল মহারজন এবং অধিনায়ক বিরাজ মহারজন। নেপালের জন্য এই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম হচ্ছে ‘লাকি ভেন্যু’। এই মাঠেই তারা ২০১৬ সালে জিতেছিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে’র শিরোপা। সাফে কখনও ফাইনালে ওঠেনি তারা। এবার মালদ্বীপকে হারাতে পারলে সেই অসাধ্য সাধনও করতে পারে, সেক্ষেত্রে আবারও পয়মন্ত প্রমাণিত হবে তাদের জন্য। তবে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে শেষ চারে গেছে নেপাল। ফলে আজকের সেমির ম্যাচে বাংলাদেশী দর্শকদের সমর্থন যে পাবে না নেপাল, সেটা খুব ভাল করেই জানেন নেপালী কোচ। অথচ বিস্ময়করভাবে তিনি আজকের ম্যাচে বাংলাদেশী ফুটবলপ্রেমীদের সমর্থন চাচ্ছেন! এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ টুর্নামেন্টে নেই। আমাদের কাছে তারা হেরেছে। সেটি ম্যাচ ডে’র কথা। সেটা এখন অতীত। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। আর সে কারণেই বাঙালী দর্শকরা কাল (আজ) মাঠে এসে আমাদের সমর্থন জানাবে বলে আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন নকআউট স্টেজে। আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই আমরা এখন সেমিতে। মালদ্বীপ আমাদের পরিচিত প্রতিপক্ষই। তাদের সঙ্গে আমরা আগেও বিভিন্ন টুর্নামেন্টে তাদের বিপক্ষে খেলেছি। অতীত ইতিহাস যাই থাকুক, আমরা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে চাই।’ দলীয় অধিনায়ক বিরাট মহারজন জানালেন সেমিফাইনাল জিততে তার দল আত্মবিশ্বাসী, ‘মালদ্বীপকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে আমরা খুশি। সেমিফাইনালে জয়ের ব্যাপারে দল আত্মবিশ্বাসী। তবে আমরা অধিক আত্মবিশ্বাসী নই। দেশের জন্য আমরা নিজেদের সেরাটাই খেলব।’ তবে মালদ্বীপের কোচ পিটার সেগ্রেট ও অতীতের পরিসংখ্যানে নজর না দিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে বলছেন। তিনি বলেন, ‘নেপাল খুবই কঠিন দল। তাদের সমীহ করছি। তবে অতীতে কি হয়েছে আমরা সেটি মাথায় রাখছি না। ম্যাচ ৯০ মিনিট বা ১২০ মিনিট হোক কিংবা পেনাল্টি শূটআউটে গেলেও আমার দল জয়ের জন্য প্রস্তুত আছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের কাছে ভবিষ্যতটা গুরুত্বপূর্ণ। ফাইনালে পৌঁছার জন্য ১-০ গোলের জয়ই যথেষ্ট। তবে আমরা আশা করছি ম্যাচে ৪-৫টা গোল হবে।’ দলের অন্যতম ফুটবলার মোহাম্মদ মুজুতাজ বলেন, ‘সেমিতে খেলার জন্য আমাদের দল প্রস্তুত আছে। সবকিছু ঠিক আছে এবং আমরা ম্যাচটা জিততে চাই।’ এদিকে একইদিনে দ্বিতীয় সেমিতে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের সহকারী কোচ শানমুগাম ভেঙ্কটেশ বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই একটা স্নায়ুচাপ থাকবেই। সেটা যেখানেই হোক। একে তো সেমিফাইনাল, অন্যদিকে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। তাই একটা বাড়তি চাপ থাকবেই। একটা চ্যালেঞ্জও থাকছে।’ পাকিস্তানের কোচ জোসে এন্টোনিও নগুয়েরা বলেন, ‘আশা করছি ভারতের বিপক্ষে খুব সুন্দর একটা ম্যাচ হবে। সেমিফাইনালে তাদের হারিয়ে ফাইনালে খেলতে চাই।’ দলীয় অধিনায়ক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সেমিফাইনাল ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সাসপেনশন থেকে ফিরেছি। কঠোর পরিশ্রম করেছি। সেমিফাইনালে ভারতকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছি। তবে অন্য কোন দল আসলেও সমস্যা ছিল না। আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’
×