ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কুয়াকাটায় রাখাইন মার্কেট মাঠে স্থায়ী জলাবদ্ধতা

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কুয়াকাটায় রাখাইন মার্কেট মাঠে স্থায়ী জলাবদ্ধতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১১ সেপ্টেম্বর ॥ কুয়াকাটা পৌরএলাকার রাখাইন মহিলা মার্কেটের সামনে একমাত্র মাঠ এখন স্থায়ী জলাবদ্ধার কবলে। ফলে রাখাইনদের দোকানপাটে খদ্দের যাওয়া-আসায় বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় খোলামাঠে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থলটিও ব্যবহার উপযোগী নেই। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় স্থায়ী জলাবদ্ধতায় মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। এছাড়া মাঠের পশ্চিম-উত্তর দিকে পানির মধ্যে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। এসব পচে-গলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। রাখাইন বৌদ্ধবিহারে যাওয়ার পথের পাশে এমন অস্বস্তিকর পরিবেশের কবলে পড়েছেন পর্যটক-দর্শনার্থীরা। সরজমিনে দেখা গেছে, রাখাইন মহিলা মার্কেটের সামনে বিরাট মাঠটির অর্ধেকটা হাঁটু সমান পানিতে ডুবে আছে। অথচ গত ১০ দিনে কোন বৃষ্টি নেই। গত তিন মাস এভাবে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে পশ্চিম দিকটা ময়লা-আবর্জনায় একাকার হয়ে আছে। পৌর শহরের ময়লা ফেলে এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, এ মাঠটির পানি সরে না। পাশের রাস্তা দিয়ে বৌদ্ধ মন্দির দর্শনে যেতে দুর্গন্ধের কারণে নাক চেপে চলতে হয়। ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালকসহ ভ্যান চালকরা এখন যানবাহনে লাগানো কাদা-ময়লা ধোয়ার কাজ করছে ওই পানিতে। পানি অপসারণের ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় মশার জন্ম হচ্ছে। মাঠের চারপাশের দোকানিরা পড়েছেন চরম বিপাকে। মাঠটিতে শুকনো মৌসুমে কুয়াকাটায় আসা পর্যটক-দর্শনার্থীরা সন্ধার পরে আড্ডায় মিলিত হন। কিন্তু এখন পারছেন না। রাখাইন মাঠসংলগ্ন ব্যবসায়ী চিংচাথন ও উচো মং বলেন, এ দুর্ভোগ ১২ মাসের। রাতে-দিনে মশার উপদ্রব বেশি থাকে। সারাদিন মশার কয়েল জ্বালিয়ে দোকানে বসতে হয়। তিনি জানান, ৮০ শতক জমি রাখাইন মার্কেট করার জন্য এলজিইডিকে আমরা দিয়েছি। এখানে ২৫০ কক্ষের রাখাইন মহিলা মার্কেট করার কথা ছিল। ১৯৯৮ সালে কাজ শুরু হয়। রাখাইন সম্প্রদায়ের জলকেলি উৎসবসহ অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপন হয়। তাই মাঠটির জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে দূর করা প্রয়োজন। ওই এলাকার কাউন্সিলর তোফায়েল আহমেদ তপু জানান, রাখাইন মার্কেটের পানি নিষ্কাশনের জন্য আমরা পাইপ দিয়েছি কিন্তু পাইপের মুখে বালি জমা হওয়ায় মুখ আটকে থাকছে। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেব মোল্লা জানান, রাখাইন মার্কেটের জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি প্রকল্পের ৭০ হাজার টাকার পাইপ কিনে লাইন করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে পাইপ ফেটে গেছে। তবে পৌর শহরের ১৩ কিলোমিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ আগামী বছর শুরু হচ্ছে। তখন জলাবদ্ধতা আর থাকবে না।
×