ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মোহাম্মদপুরে অবৈধ ১৪ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মোহাম্মদপুরে অবৈধ ১৪ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনুমোদন না থাকায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ১৪টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার দ্রুত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না এবং পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল করেছে আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ‘৫০০ মিটার ২৬টি, ১৪টিই অবৈধ হাসপাতাল’ শিরোনামে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টের রিট দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। হুমায়ুন রোড, বাবর রোড ও খিলজি রোডের অনুমোদনহীন এসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হল- বিডিএম হসপিটাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়েল মাল্টিস্পেশালিস্ট হসপিটাল, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল এ্যান্ড ড্রাগ এ্যাডিকশন হসপিটাল, মনমিতা মেন্টাল হসপিটাল, পাজমা মেডিক্যাল সার্ভিস এ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হসপিটাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মেন্টাল হসপিটাল, ক্রিসেন্ট হসপিটাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, নিউ ওয়েল কেয়ার হসপিটাল এবং বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজইড হসপিটাল। লাইসেন্স ছাড়া বা অনুমোদনহীনভাবে পরিচালতি এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনা বন্ধে ‘বিবাদীদের ব্যর্থতা বা নিস্ক্রিয়তা’ কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে পরিচালিত এই ১৪টি হাসপাতাল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। দুই স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মোহাম্মাদপুর থানার ওসি, র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান খোকন। পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, মোহাম্মদপুরের ‘৫০০ মিটারে ২৬টি, ১৪টিই অবৈধ হাসপাতাল’ শিরোনামে গত ২০ এপ্রিল একটি দৈনিকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে এই রিট আবেদন করে।
×