ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বে-টার্মিনালের জমি অধিগ্রহণে ৩৫২ কোটি টাকা দিল বন্দর

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বে-টার্মিনালের জমি অধিগ্রহণে ৩৫২ কোটি টাকা দিল বন্দর

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ পরিশোধের মধ্য দিয়ে বড় একটি ধাপ এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজ। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসনে জেলা প্রশাসনের কাছে ৩৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে এই অর্থ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দর এবং অভ্যন্তরীণ নৌপথের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ, জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াস হোসেন এবং বন্দর ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় সাগরপারে গড়ে উঠবে বে-টার্মিনাল, যাকে আখ্যায়িত করা হচ্ছে আগামীর বন্দর হিসেবে। বর্তমান বন্দরের দ্বিগুণেরও বেশি সক্ষমতা থাকবে এই বন্দরের। দেশের ক্রমবর্ধমান আমদানি রফতানির সঙ্গে পাল্লা দিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ জরুরী হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বিদ্যমান বন্দরকে খুব বেশি সম্প্রসারিত করার সুযোগ ছিল না। সে কারণেই সাগরপারে প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বে টার্মিনাল নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, যা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, মোট ৯০৭ একর জমিতে এই টার্মিনাল নির্মিত হতে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে ৮৩৯ একর খাস জমি। বাকি ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ প্রথম ধাপে প্রদান করা হয়েছে এই ৩৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বন্দরকে ভূমি বুঝিয়ে দিলেই সেখানে ডেলিভারি ইয়ার্ড ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু করে দেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বে টার্মিনাল নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। এ টার্মিনাল নির্মিত হলে তা বন্দরের উৎপাদনশীলতা ও সক্ষমতাকে দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে দেবে। রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৫০ বিলিয়ন ডলারকে সামনে রেখে দেশের অর্থনীতির যে অগ্রযাত্রা, তার সঙ্গে মিলিয়ে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। বে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ব্যবসায়ী তথা আমদানি রফতানিকারকদের দাবিও ছিল দীর্ঘদিনের। প্রস্তাবিত বে টার্মিনালে ভিড়তে পারবে যে কোন দৈর্ঘের ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ। বিদ্যমান বন্দরে সর্বোচ্চ সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারে। নতুন বন্দরে একসঙ্গে অর্ধ শতাধিক জাহাজ ভিড়তে পারবে। আর বর্তমান বন্দরে ভিড়তে পারে ১৬টি জাহাজ। প্রসঙ্গত, গত বছর চট্টগ্রাম ২৫ লাখ ৬৬ হাজার টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করে। প্রতিবছর এই হ্যান্ডলিং বেড়েই চলেছে।
×