ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মৌমাছির কামড় ৩ অংশে যন্ত্রণাদায়ক

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মৌমাছির কামড় ৩ অংশে যন্ত্রণাদায়ক

১৯৮০ সালে জাস্টিন স্মিড নামের একজন গবেষক পোকামাকড়ের কামড়ে সৃষ্ট ব্যথার মাত্রার একটি তালিকা তৈরি করেন। এই তালিকায় তিনি ৭৮টি ভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড়ের কামড়ের ব্যথার তীব্রতাকে শূন্য থেকে চার মাত্রায় পরিমাপ করেন (চার মাত্রার অসহনীয় মারাত্মক ব্যথা হচ্ছে, বুলেট এ্যান্ট প্রজাতির পিঁপড়া এবং ট্যালেন্টুলা হক প্রজাতির পতঙ্গের কামড়)। ব্যথা যেহেতু সাবজেক্টিভ বিষয়, তাই বিজ্ঞানী জাস্টিন তার নিজের শরীরেই পোকামাকড়ের কামড় গ্রহণ করে ব্যথার মাত্রা পরিমাপ করেন। এ গবেষণায় জাস্টিন আরও আবিষ্কার করেন যে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোকামাকড়ের কামড়ের ব্যথার মাত্রা নির্ভর করে। এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ হিসেবে মৌমাছি ব্যবহার করেন। মানব শরীরে মৌমাছির কামড়ের সবচেয়ে বেদনাদায়ক স্থান নির্বাচনের জন্য তিনি নিজ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মৌমাছির কামড় সহ্য করেন। ফলাফলে দেখা গেছে, মৌমাছির কামড় মানেই ব্যথাদায়ক। গবেষণায় মৌমাছির কামড়ে বেদনাদায়ক হিসেবে মানব শরীরের ২৫টি স্থানকে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বেদনাদায়ক স্থান হচ্ছে- নাক, ওপরের ঠোঁট এবং লিঙ্গ। এই তিন অংশে মৌমাছির কামড়ে শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ব্যথা অনুভব হয়। কম ব্যথা অনুভব হয় মাথা, ওপরের বাহু এবং পায়ের মাঝের আঙ্গুলের ডগায়। এক্ষেত্রে জাস্টিন ব্যথার মাত্রা শূন্য থেকে দশ পর্যন্ত পরিমাপ করে এ সিদ্ধান্তে এসেছেন। একজন ব্যক্তি তার শরীরে যেখানে সবচেয়ে বেশি ব্যথা অনুভব করেছেন অন্য সকলেই তাদের শরীরে ওই একই স্থানে সবচেয়ে বেশি ব্যথা অনুভব করবেন তা কিন্তু নয়। তাই শরীরের ভিন্ন ভিন্ন স্থানের সঙ্গে ব্যথার মাত্রার সংযোগ বুঝতে আরও বেশি গবেষণার প্রয়োজন। কিন্তু এ ধরনের গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবক পাওয়াটা হয়ত কঠিন, কারণ কেউবা স্বেচ্ছায় মৌমাছির কামড় খেতে চাইবে। -রিডার্স ডাইজেস্ট
×