ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গান নিয়ে মিথ্যাচার

ছড়াকার ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে ফজল-এ খোদার মানহানি মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ছড়াকার ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে ফজল-এ খোদার মানহানি মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাষা আন্দোলনের গান নিয়ে মিথ্যাচার করায় ছড়াকার খালেক বিন জয়েন উদ্দিন ও সাত ভাই চম্পা প্রকাশনীর প্রকাশক নিলূফার ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বেতারের সাবেক পরিচালক ও গীতিকার ফজল-এ-খোদা ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ সাউদ হাসানের আদালতে বিবাদী দুই জনকেই হাজির হয়ে জবাব দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর পক্ষের আইনজীবী ফারিয়া ফেরদৌস জনকণ্ঠকে এ কথা জানান। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছড়াকার খালেক বিন জয়েন উদ্দিন তার ‘আত্মপ্রকাশের দীপাবলি’ বইতে ‘পঁচাত্তরের খুনীদের ঘায়ে নজরুলের বিদ্রোহী সত্ত্বা উধাও’ শীর্ষক রচনায় ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের লেখক ফজল-এ-খোদাকে গানটি চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। এ ছাড়া কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার কারণে ফজল-এ-খোদাকে পঁচাত্তরের বঙ্গবন্ধুর খুনী হিসেবে তার বইতে উল্লেখ করেন। এ কারণে ফজল-এ-খোদা বাদী হয়ে তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে খালেক বিন জয়েন উদ্দিন এবং তার বইয়ের প্রকাশক ঢাকার বাংলাবাজারের সাত ভাই চম্পা প্রকাশনীর প্রকাশক নিলূফা ইয়াসমিনকে বিবাদী করে মানহানির জন্য ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে আদালতে মোক্দ্দমা দায়ের করেন (যার নম্বর ০৮/২০১৮)। মামলাটি মার্চ মাসে করা হয়। আর কোর্ট ফাইল করা হয় ১১ এপ্রিল। কয়েকটি তারিখ পড়লেও বিবাদীদ্বয় আদালতে না আসায় ১৩ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে সমন পাঠানো হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর তাদের আদালতে হাজির হয়ে জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এদিকে গীতিকার ফজল-এ-খোদার ছেলে সজীব ওনাসিস জনকণ্ঠকে বলেন, শুধু নোংরামি করার জন্য খালেক বিন জয়েন উদ্দিন এ কাজটি করেছেন। তিনি বাংলাদেশ বেতারে আমার বাবার সহকর্মী ছিলেন। আমার বাবার ব্যক্তিগত ধারণা খালেদ বিন জয়েন উদ্দিন রেডিওতে সুযোগ-সুবিধা চেয়েছিলেন। তার চাকরিটাও আমার বাবা দিয়েছে। তাকে সুযোগ-সুবিধা না দেয়ায় তিনি ব্যক্তিগত আক্রোশে এ মিথ্যাচার করেছেন। উল্লেখ্য ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে বহুল প্রচারিত এবং প্রতিবারই প্রচারকালে গীতিকার হিসেবে ফজল-এÑখোদার নাম উল্লেখ করা হয়। গানটি ’৭১ সালেই কলকাতার হিন্দুস্তান রেকর্ড থেকে ‘সোনার বাংলা’ সিরিজের একটি গান হিসেবে রেকর্ড করা হয়। সেখানেও গানটির গীতিকার হিসেবে ফজল-এ-খোদার নাম উল্লেখ রয়েছে। ফজল-এ-খোদা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর ‘বঙ্গবন্ধু বেতার কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার অভিযোগে জাতির জনকের খুনীদের হাতে গ্রেফতার হন।
×