ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্ত দিয়ে যাতে অস্ত্র আসতে না পারে সতর্ক বিজিবি

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সীমান্ত দিয়ে যাতে অস্ত্র আসতে না পারে সতর্ক বিজিবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধ অস্ত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্কাবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে তারা। সোমবার দুপুরে পিলখানার বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম একথা বলেন। তিনি জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে দেশে যাতে কোন ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি না হয়। সেজন্য সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ভারতের নয়াদিল্লীতে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ে ৪৭তম সীমান্ত সম্মেলন শেষে এদিন দুপুরে পিলখানায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিজিবি। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মাঠে কাজ করে থাকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সরকার চাইলে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও তারা এই দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনকালীন সময়ে সীমান্তে বিজিবির সদস্য সংখ্যা কমে যাবে। এসময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী এবং মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ওই সময়টা তাদের সীমান্ত সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখবে। ওই সময় আমাদের প্রশিক্ষণ বন্ধ থাকবে। একান্ত প্রয়োজন না হলে কেউ ছুটিতে থাকবে না। এগুলো নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করে ফেলেছি। নির্বাচনের আগে দেশে অস্ত্র চোরাচালান বাড়ে উল্লেখ করে বিজিবি প্রধান বলেন, অস্ত্র চোরাচালানের বিষয়ে আমরা সচেতন রয়েছি। তিন মাস আগে থেকেই আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। আমরা বিএসএফ-এর সঙ্গেও কথা বলেছি। লোকবল, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছি। বিজিবি মহাপরিচালক জানান, চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত ৫৩টি পিস্তল, ১৬টি বন্দুক, ২৩৭ রাউন্ড গুলি, ৫০০ গ্রাম বিস্ফোরক, ১৭টি ডেটনেটর উদ্ধার করেছেন তারা। অস্ত্র চোরাচালানরোধে সীমান্তে অতিরিক্ত নজরদারি করা হচ্ছে। এছাড়া কুড়িগ্রাম ও কুমিল্লার দুটি স্থানকে ক্রাইম ফ্রি এলাকা হিসেবে ঘোষণার জন্য যাচাই-বাছাই চলছে। বিজিবি মহাপরিচালক জানান, বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্তে যৌথ টহল হয়েছে ১২ হাজারের বেশি। আর মিয়ানমারের সঙ্গেও বাংলাদেশের যৌথ টহল হয়েছে দুই হাজারের বেশি।
×