অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে ৩৫টি খাতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দেবে সরকার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রফতানির বিপরীতে এই সুবিধা পাবে রফতানিকারকরা। এবার রফতানি সহায়তা পাওয়ার তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে মোটরসাইকেলসহ আরও ৯টি খাত। গত অর্থবছর ২৭টি খাতে নগদ সহায়তা দেয়া হয়। এবার বস্ত্র খাতে নতুন বাজার সম্প্রসারণে নগদ সহায়তার হার ১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আর পেট বোতল-ফ্লেক্স রফতানির বিপরীতে রফতানি ভর্তুকি ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এছাড়া গত অর্থবছর পর্যন্ত ষোষিত অন্যান্য খাতে রফতানি ভর্তুকির হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে নতুনভাবে যুক্ত হওয়া ৯টি খাতের প্রত্যেকটিতে ১০ শতাংশ করে নগদ সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলার অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে রফতানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা ৪ শতাংশ, নতুন পণ্য বা বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা (আমেরিকা, কানাডা ও ইইউ ব্যতীত) ৪ শতাংশ, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতে রফতানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ২ শতাংশ, কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্যে ২০ শতাংশ, গরু-মহিষের নাড়ি, ভুঁরি, শিং ও রগ (হাড় ব্যতীত) রফতানিতে ১০ শতাংশ, হালকা প্রকৌশল পণ্য রফতানিতে ১৫ শতাংশ, শতভাগ হালাল মাংস রফতানিতে ২০
শতাংশ, বরফ আচ্ছাদনের হারভেদে হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রফতানিতে ২ থেকে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হবে।
চামড়াজাত পণ্য ও আসবাব রফতানিতে ১৫ শতাংশ; সাভারে চামড়াশিল্প নগরীতে অবস্থিত কারখানা ও সাভারের বাইরে অবস্থিত নিজস্ব উটিপি রয়েছে এরূপ কারখানায় উৎপাদিত ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রফতানিতে ১০ শতাংশ, জাহাজ ও প্লাস্টিক পণ্য রফতানিতে ১০; আলু রফতানিতে ২০ শতাংশ, পেট বোতল-ফ্লেক্স রফতানিতে ৫ শতাংশ।
নতুন যুক্ত হলো মোটরসাইকেলসহ ৯ খাত
রফতানিতে নগদ সহায়তা পাবে ৩৫ শিল্প খাত
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: