ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন

উত্তর কোরিয়ার কুচকাওয়াজে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নেই

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 উত্তর কোরিয়ার কুচকাওয়াজে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নেই

উত্তর কোরিয়ার ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যম। দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন কি না তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খবর বিবিসি’র। উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রভান্ডার ও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে দেয়া প্রতিশ্রুতি বিষয়ে কোন ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যায় কি না, সেজন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কুচকাওয়াজটির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ সম্মেলনের কারণে কিমের এবারের প্রদর্শনীর সুর নরম থাকবে বলে অনেক বিশ্লেষক আগেই ধারণা দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ডে পৌঁছাতে সক্ষম পারমাণবিক ওয়ারহেডবাহী আন্তঃ মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের বড় ধরনের প্রদর্শনীকে উস্কানি হিসেবেই দেখা হতো বলেও ভাষ্য তাদের। কুচকাওয়াজের কোন ভিডিও ফুটেজ এখনও প্রকাশ না করা হলেও অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত একটি বার্তা সংস্থার প্রতিবেদক ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন থেকে ছবি নেয়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনকে নিউজ প্রদর্শনীতে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে। চলতি বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিম কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিকমুক্ত করার লক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি অস্পষ্ট চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। কতদিনের মধ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্য অর্জিত হবে কিংবা কী প্রক্রিয়ায় এটি যাচাই করা হবে, তার বিস্তারিত না থাকায় শুরু থেকেই অনেকেই এ চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা ও সফর বিনিময় অব্যাহত থাকলেও সর্বশেষ পিয়ংইয়ংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সফর শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অগ্রগতি অব্যাহত আছে দাবি করলেও দুই দেশই সম্প্রতি একে অপরের বিরুদ্ধে আলোচনা বিঘিœত করার অভিযোগ এনেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কুচকাওয়াজে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের উপস্থিতি ভবিষ্যত আলোচনা ও কোরীয় যুদ্ধ সমাপ্তিতে কোন ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলত, মন্তব্য বিবিসির সিউল প্রতিবেদক লরা বাইকারের। পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম উত্তর কোরিয়ার বড় ধরনের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শিত হয়। বিস্তৃত প্রচারণা নির্ভর ‘আরিরাং মাস গেমস’ নামের এই প্রদর্শনীতে সাধারণত ছন্দবদ্ধ শরীরচর্চা, সমন্বিত নৃত্য ও নানা ধরনের প্রদর্শনীর সমাহার থাকে। ‘দ্য গ্লোরিয়াস কান্ট্রি’ শিরোনামের এবারের ক্রীড়াশৈলীতে উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসের প্রতীকী গল্প থাকবে। দুই সপ্তাহ ধরে পাওয়া উপগ্রহের নানান ছবি বিশ্লেষণে সেপ্টেম্বরব্যাপী চলা এবারের আয়োজন বিশাল হতে যাচ্ছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। বড় বড় স্টেডিয়ামে হওয়া আগের আয়োজনগুলোও নানান নৈপুণ্য, সিঙ্ক্রোনাইজড জিমন্যাস্টস ও সমন্বিত নৃত্যে ভাস্বর ছিল। বর্ণিল এ আয়োজন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কাড়লেও এতে অংশ নিতে কিংবা সহায়তাকারী হতে শিশুদের বাধ্য করা হয় বলে পূর্বে অভিযোগ করেছিল জাতিসংঘ।
×