ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার ১১ মামলায় হাজির হওয়ার দিন ধার্য ৭ অক্টোবর

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 খালেদা জিয়ার ১১ মামলায় হাজির হওয়ার দিন ধার্য ৭ অক্টোবর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ও নাশকতার ১০টিসহ মোট ১১ মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হাজির হওয়ার জন্য আগামী ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে আদালত। রবিবার রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলার অধিকাংশই উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে- উল্লেখ করে আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা, জিয়া উদ্দিন জিয়া। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ওই দিন ধার্য করে। মামলাগুলোর মধ্যে দারুসসালাম থানার নাশকতার ৮ মামলা, যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলাসহ ২ মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ খালেদা জিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, ‘তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না’। খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী। ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়। গত বছরে বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
×