ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের তিনদিনের নাট্যোৎসব

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের তিনদিনের নাট্যোৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের আয়োজনে শুরু হলো তিন দিনের নাট্যোৎসব। রবিবার বিকেলে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসিতে সূচনা হওয়া উৎসবটি চলবে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। উৎসবে অংশ নিচ্ছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি নাট্যদল। উৎসবের সব নাটক মঞ্চস্থ হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে। রবিবার বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন হয়। উৎসব উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. ইস্রাফিল শাহীন, অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবীর ও সাবেক সাংসদ সদস্য তানভির শাকিল জয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের সভাপতি সানোয়ারুল হক সানি। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঞ্চস্থ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদ প্রযোজিত নাটক ‘কাক চরিত্র’। মনোজ মিত্রের রচনা অবলম্বনে প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন শুভ্রা গোস্বামী। উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি থাকবেন অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। আলোচনায় অংশ নেবেন অধ্যাপক নাজমুল হাসান ও ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রব্বানী। আলোচনা শেষে মঞ্চস্থ হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রযোজিত সেলিম আল দীনের নাটক ‘কীর্তনখোলা’। নির্দেশনায় রয়েছেন আহসান হাবিব। উৎসবের শেষ দিনে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মঞ্চস্থ ভারতের কলকাতার আনন্দন নাট্যদলের নাটক ‘টেলিস্কোপ’। মধুসূদন মুখোপাধ্যায় রচিত প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন সঞ্জীব সরকার। সমাপনী দিনের আলোচনায় প্রধান অতিথি থাকবেন ঢাবি জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম কুমার সরকার। আলোচনায় অংশ নেবেন ঢাবি নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামীম হাসান। দ্রৌপদী পরম্পরা নাটকের নবম মঞ্চায়ন ॥ নাট্যদল থিয়েটারের (আরামবাগ) চল্লিশতম প্রযোজনা ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’। রবিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটির নবম মঞ্চায়ন হয়। মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্র দ্রৌপদীকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। নাটকটির মাধ্যমে সমকালের আয়নায় রূপায়ণ ঘটেছেন প্রাচীন আমলের দ্রৌপদীর। চরিত্রটির মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে পুরুষশাসিত সমাজের যাঁতাকলে পিষ্ঠ নারীর দীর্ঘশ্বাসমাখা অপ্রিয় সত্য কথন। রচনার পাশাপাশি নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রবীর দত্ত। এ নাটকের মাধ্যমে মহাভারতের দ্রৌপদী পরিভ্রমণ করে মর্ত্যলোকে। যে কথা মহাভারতে বলতে পারেনি, সেই না বলা কথাগুলোই বলে যায় দ্রৌপদী। মহাভারতের সময়ের ঘটনায় তাকে যেভাবে নিগৃহীত হতে হয়েছে সেই চিত্র উন্মোচনের সঙ্গে অব্যক্ত ও অপ্রিয় সত্য কথাগুলো উঠে আসে নাটকের আশ্রয়ে। ঘটনার পরম্পরায় আখ্যানটি বিস্তৃত হয় মহাভারতের সময় থেকে সমকালীন সময় পর্যন্ত। সেই সুবাদে উপস্থাপিত হয় চিরকালীন ও চিরাচরিত বঞ্চিত নারীর বিষম বেদনা। নাটকে দ্রৌপদীর চরিত্র রূপায়ণ করেন দুই অভিনয়শিল্পী তাহমিনা আক্তার ও আকেফা আলম। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন- রফিকুল ইসলাম রফিক, তৌহিদুল ইসলাম বাদল, শাহরিয়ার ইসলাম, রিজভিনা মৌসুমী, শংকর চন্দ্র সরকার, লেনিন ফিরো ও প্রবীর দত্ত। প্রযোজনাটির মঞ্চ পরিকল্পনা করছেন আলী আহমেদ মুকুল। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন আইরিন পারভীন লোপা। সঙ্গীত পরিকল্পনায় ছিলেন শিশির রহমান। শামীমুর রহমানের আলোক পরিকল্পনায় মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ’ ॥ কাল মঙ্গলবার শিল্পী শাহাবুদ্দিনের ৬৯তম জন্মদিন। যৌথভাবে শিল্পীর জন্মদিন উদ্যাপনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও শিল্পী শাহাবুদ্দিন ৬৯তম জš§দিন উদযাপন জাতীয় কমিটি। এছাড়া শিল্পীকে জন্মদিনকে ঘিরে একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে শনিবার দিনব্যাপী খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশগ্রহণে আর্টিস্ট ক্যাম্প এবং শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাবি চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে শিশু-কিশোরদের মধ্যে তিনটি বিভাগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। ছবি আঁকার বিষয় ছিল ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’ এবং ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ’। প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন জন্মদিন উদযাপন জাতীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি চারুকলা বিভাগের পরিচালক শিল্পী আশরাফুল আলম পপলু, শিল্পী দুলাল চন্দ্র গাইন, শিল্পী আনিসুজ্জামান আনিস ও শিল্পী নাজির হোসেন খান খোকন। পরে দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশগ্রহণে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের প্রতিকৃতি নিয়ে ছবি আঁকার আর্টিস্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন আব্দুল মান্নান, অলোকেষ ঘোষ, আহমেদ শামসুদ্দোহা, দুলাল চন্দ্র গাইন, আলপ্তগীন তুষার, আব্দুস সাত্তার, কামালুদ্দীন, ময়েজউদ্দিন লিটন, রত্নেশ্বর সূত্রধর, সোহাগ পারভেজ, আনিসুজ্জামান, শাহজাহান আহমেদ বিকাশ ও বিশ্বজিৎ গোস্বামী।
×