ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সমন্বিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে ইইউ

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সমন্বিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে ইইউ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) বেশ কয়েকটি দেশ। রোহিঙ্গা গণহত্যার তদন্ত ও দোষীদের বিচারের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে দেশটির সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্ট শীর্ষ দুটি কোম্পানির ওপর সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা চলছে। এতে পুরো দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কায় কোন কোন দেশ বিকল্প নিষেধাজ্ঞার কথাও ভাবছে। সেক্ষেত্রে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিন কূটনীতিকের সঙ্গে আলোচনার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এই খবর জানিয়েছে। খবর ওয়েবসাইটের। ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও ইউরোপীয় কমিশনের ওপর চাপ তৈরি করতে আগামী সোমবার ব্রাসেলস সফর করবেন কয়েকজন রোহিঙ্গা নাগরিক। গত বছরের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাবিরোধী সেনা অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে ইতোমধ্যেই মিয়ানমারের সাতজন উর্ধতন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের সম্পত্তি জব্দ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই সেনা অভিযানের কারণে গত বছর সাত লাখের পাশাপাশি চলতি বছরেও রাখাইন ছেড়েছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ১১ হাজার সদস্য। সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তুলেছে। ওই মিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের পরই নতুন নিষেধাজ্ঞার চিন্তা করছে ইইউ। আগামী সোমবার কয়েকজন রোহিঙ্গা সদস্য মিয়ানমার সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যের ওপর সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা আরোপে চাপ সৃষ্টি করতে ব্রাসেলস সফর করবেন। তারা কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ও ইউরোপীয় কমিশনের কাছে সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি তুলবেন। সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার একটি বিকল্প হতে পারে মিয়ানমারের শীর্ষ দুটি ব্যবসায়িক কোম্পানি দি ইউনিয়ন অব মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেড ও মিয়ানমার ইকোনমিক কর্পোরেশনের অধীনে পরিচালিত বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ। এই দুটি কোম্পানির অধীনে দেশটির রতœ, কপার, স্বর্ণ, পোশাক, সিমেন্ট ও দেশটির শীর্ষ টেলিকম কোম্পানি মাইটেল এর বাণিজ্য পরিচালিত হয়। তবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কায় এসব কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই কর্মকর্তা পলিটিকোকে একথা জানিয়েছেন।
×