ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টঙ্গীতে ফুফাত বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশিত: ০৭:৫৬, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

টঙ্গীতে ফুফাত বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী ৮ সেপ্টেম্বর ॥ টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় ফুফাত বোন সীমা আক্তার (১৭) কে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে টঙ্গী থানায় শনিবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বড় বোন তাহমিনা। ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় দুই মামাত ভাই সজল ও সজিবসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়। নিহত সীমার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার রসুল্লাবাদ গ্রামে। তার পিতার নাম ফরিদ মিয়া। টঙ্গী থানায় দায়ের করা অভিযোগের বরাত দিয়ে টঙ্গী থানার এসআই রমজান আলী জনকণ্ঠকে জানান, শুক্রবার বিকেলে টঙ্গীর শিলমুন এলাকার তার বড় বোনের বাসা থেকে সীমা নিখোঁজ হয়। শনিবার আবেদা মেমোরিয়াল হাসপাতালে সীমার লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। সুরতহাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়। বাদী তাহমিনা শনিবার রাতে জনকণ্ঠকে জানান, গত ক’দিন আগে সীমা তার বাড়িতে বেড়াতে আসে। তাদের মামা খলিল মিয়া ওই এলাকায় বসবাস করেন। মামাত ভাই সজল ও সজিব দু’জনই সীমাকে পছন্দ করত। এ নিয়ে পূর্ব থেকে দু’পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিল। শুক্রবার বিকেলে সীমা বাড়ির ছাদে কাপড় আনতে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হয়। রাতে সজল ফোন করে তাদের পরিবারকে জানায় সীমা হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরিবারের লোকজন টঙ্গী আবেদা হাসপাতালে এসে সীমার লাশ আবিষ্কার করে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
×