স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ অটো ফেডারেশন সমিতির নামে অতিরিক্ত চাঁদাবাজির অভিযোগে ডোমার উপজেলা জুড়ে অটোরিক্সা (ইজিবাইক) চালকরা শনিবার দিনব্যাপী ধর্মঘট পালন করেছে। এ দিন তারা সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করায় কোন অটোরিক্সা চলাচল করেনি। ফলে যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়ে। এদিকে এই ধর্মঘটকে সমর্থক জানানোর কারণে অটো ফেডারেশন সমিতির সভাপতির নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয় ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো অটো ফেডারেশন সমিতির সদস্য লোকমান হোসেন লাভলু (৩৯) মোজাফ্ফর হোসেন (২২) রশিদুল ইসলাম (৩২) জহুরুল ইসলাম (৩২) ও আলী হোসেন (৩২)। এ নিয়ে ডোমার শহরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডোমার অটোবাইক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি ময়নুল হক মনু অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন থেকে অটোরিক্সা থেকে চাঁদা তুলছে অটো ফেডারেশন সমিতির সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রিমন। নতুন অটো রাস্তায় নামালে প্রথম দফায় ১০০০ টাকা ও প্রতিদিন ১০ টাকা ধারে অবৈধভাবে চাঁদা তোলেন। এটির প্রতিরোধে অটোচালকদের নিয়ে গঠন করা হয় অটোবাইক কল্যাণ সোসাইটি। তারা আমাকে সভাপতি বানিয়ে অবৈধ চাঁদা বন্ধের জন্য দাবি করে। ওই চাঁদা বন্ধের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ৬টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অটোরিক্সার ধর্মঘট চলছিল। এ সময় দুপুরে অটো ফেডারেশন সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রিমন তার দলবল নিয়ে এসে ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করে।
অপরদিকে আওয়ামী যুবলীগের ডোমার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও অটো ফেডারেশন সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রিমুন জানান আমরা কোন চাঁদা তুলি না। বরং তারাই চাঁদা তুলছে। কোন অটোরিক্সা চালক চাঁদা না দিলে তাদের মারধর করে। ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহে তারা অটো ধর্মঘট ডেকে নিজেরাই পৌর আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করে আমাদের ওপর দায় চাপিয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: