ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের ঋণখেলাপীরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চট্টগ্রামের ঋণখেলাপীরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রামের ঋণখেলাপীরা এবার ঋণ পুনর্গঠনে বিশেষ সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। যারা জামানত ছাড়া এলটিআর (লোন এগেইনস্ট ট্রাস্ট রিসিট) বা স্বল্প সময়ের জন্য বিশ্বাসের ভিত্তিতে ঋণ নিয়েছিলেন, কিন্তু বিশ্বাস রাখেননি সেসব ব্যবসায়ীরা টাকা ফেরত না দিয়েও খেলাপীর তকমা মুছতে পারবেন। এজন্য একটি নীতিমালাও তৈরি করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখতকে। ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখছে এই কমিটি। এ প্রসঙ্গে ড. জায়েদ বখত বলেন, সাধারণত ঋণ পুনর্গঠন করতে হলে ওই ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু আমরা এখন যে নীতিমালা করতে যাচ্ছি, এটা একেবারেই নতুন বিষয়। এটা মূলত এলটিআর বা জামানত ছাড়া ঋণ। যা বিশ্বাসের ওপর নেয়া। এগুলো আর ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই ধরনের ঋণ ফেরত আনার ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন করে পর্যাপ্ত জামানাত দিলে এমন গ্রাহকদের ফের ঋণ দেয়া হবে। এতে ব্যাংকও উপকৃত হবে। তার মতে, অর্থনীতি সচল রাখতে ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেয়া উচিত। তিনি হলমার্কের উদাহরণ টেনে বলেন, হলমার্কের এমডি ও চেয়ারম্যানকে জেলে রেখে কোন টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি। উপরন্তু হলমার্কের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক কিছু চুরিও হয়ে গেছে। তাদেরকে জেলে না রেখে যদি নজরদারিতে রেখে সুযোগ দেয়া হতো তাহলে ব্যাংক ধীরে ধীরে টাকা ফেরত পেত। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, খেলাপী গ্রাহককে বিশেষ সুবিধা দিয়ে ব্যাংকের উপকার হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব গ্রাহককে বিশেষ সুবিধা দিয়েছিল, তারা আবারও খেলাপি হয়েছে। ইচ্ছেকৃতভাবে অসৎ ব্যবসায়ীদের টাকা দেয়া বন্ধ না হলে ব্যাংকের কেবল ক্ষতিই হবে।
×