মৌলিক সেবার ঘাটতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলা বিক্ষোভের আগুন থেকে রেহাই পেল না ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বসরার ইরানী কনসুলেট ভবনও। শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শহরটিতে বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার ইরানী পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি রাজনীতিতে তেহরানের প্রভাব বিস্তারের প্রতিবাদে স্লোগানও দেয়। পাঁচ দিন ধরে চলা এ বিক্ষোভ থামাতে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে কর্তৃপক্ষ সান্ধ্য আইন জারি করেছে। বিবিসি।
এদিনের বিক্ষোভেও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত এক বিক্ষোভকারী নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে। গত সপ্তাহের সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকে ইরাকের শিয়াদের সঙ্গে তেহরানের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ইরানের কনসুলেট ভবনকে বাগদাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারী ভবনের মতোই মনে করে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। কনসুলেট ভবন জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমী। আগ্রাসী এ হামলায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ভবনে আগুন দেয়ার আগেই কনসুলেটের কর্মীরা সব নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে ধারণা ইরানী গণমাধ্যমগুলোর। শিয়া অধ্যুষিত বসরার দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা ভেঙ্গে পড়া অবকাঠামো, তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুত না থাকা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে আসছেন। শহরটির ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বলছেন, সাপ্লাইয়ের পানিতে লবণ চুইয়ে পড়ায় তা পানের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে, যে কারণে গ্রীষ্মের গরমের মধ্যে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: