ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কয়লা উত্তোলন শুরু করেছে বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ (বিসিএমসিএল)। শুক্রবার রাত ৯টা থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। ফেইজ পরিবর্তনের জন্য খনিটির কয়লা উত্তোলন প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল। শনি এবং রবিবার পরীক্ষামূলক উত্তোলন চলবে। এরপর সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কয়লা উত্তোলন হবে। খনি থেকে কয়লা তোলায় মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে বড়পুকুরিয়া কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্রটি। বড়পুকুরিয়া খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার বিকেলে তিনি জনকণ্ঠকে জানান, শুক্রবার রাত ৯টা থেকে বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫২৯ টন কয়লা তোলা হয়েছে। শনি এবং রবিবার প্রতিদিন এক হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টন কয়লা উত্তোলন করা হবে। আর সোমবার থেকে আশা করা হচ্ছে উত্তোলন বেড়ে দাঁড়াবে দুই হাজার ২০০ টনে। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুত কেন্দ্রটি প্রতিদিনের কয়লার চাহিদা রয়েছে পাঁচ হাজার টনের মতো। তবে একটি ইউনিট বন্ধ থাকায় এখন দৈনিক চাহিদা ৪ হাজার টনের কাছাকাছি। গত প্রায় তিনমাস ধরে খনিটি বন্ধ থাকায় কয়লা চালিত বিদ্যুত কেন্দ্রটিও বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাই তীব্র লোডশেডিং এর স্বীকার হচ্ছে। অন্য জায়গা থেকে বিদ্যুত দিলেও ভোল্টেজ লেভেল নিচে নেমে যাওয়াতে গ্রাহক মানসম্মত বিদ্যুত পাচ্ছে না। সম্প্রতি বড়পুকুরিয়া কেন্দ্রটি মধ্য সেপ্টেম্বরে চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিদ্যুত সচিব আহমদ কায়কাউস বলেছেন, খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হচ্ছে। এছাড়া কয়লা আমদানিও করছে সরকার। এজন্য সরকার কয়লা আমদানির উদ্যোগ নিচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেছেন, এতে করে ভবিষ্যতে আর কয়লা সঙ্কটে কেন্দ্রটি বন্ধ হবে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড়পুকুরিয়া খনিটি পুরোদমে চালু হলেও বিদ্যুত কেন্দ্রর কয়লা চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। যে হারে কয়লা প্রয়োজন হবে ওই হারে কয়লা সরবরাহ করতে পারবে না খনিটি। ফলে যে ঘাটতি থাকবে তা আমদানি করেই মেটাতে হবে। আর আমদানি করা সম্ভব না হলে কেন্দ্রটি পুরোদমে চালানো সম্ভব হবে না। তবে বড়পুকুরিয়ায় পিডিবির ৫২৫ মেগায়াটের কয়লা চালিত বিদ্যুত কেন্দ্রটি পুরোদমে না চালালে খনির কয়লা দিয়েই কেন্দ্রটি চালানো সম্ভব। গত ১৬ জুন খনিটি বন্ধ হওয়ার পর সঙ্কটে পড়ে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুত কেন্দ্র। এতে বেরিয়ে আসে বড়পুকুরিয়া খনির চুরির ঘটনা। এক লাখ ৪০ হাজার টন কয়লার ঘাটতিতে বড়পুকুরিয়া খনি বড় আলোচনার জন্ম দেয়। পেট্রোবাংলা এবং জ¦ালানি বিভাগের যৌথ প্রতিনিধি দল কয়লা গায়েবের ঘটনা উদ্ঘাটন করে। বিষয়টি এখন তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। ঘটনায় গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। দায়ীদের চিহ্নিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
×