ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানও বাংলাদেশের মতো হতে চায়

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পাকিস্তানও বাংলাদেশের মতো হতে চায়

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বর্তমান বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। পাকিস্তানও এখন বাংলাদেশের মতো হতে চায়। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে আল্লামা রুমি সোসাইটি বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বাংলার রুমি সৈয়দ আহমদুল হকের জন্মশত ও সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত লিয়াকত আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশে ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজি দেহনাভি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ শওকত আলী ওয়ারেছী ও আল্লামা রুমি সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি মোঃ আব্দুল করিম। সেমিনারে পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোর বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানকে যেন উন্নয়নে বাংলাদেশের পর্যায়ে উন্নীত করেন। অথচ পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ওপর আধিপত্য করেছিল, শোষণ করেছিল। আর আজকের বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, মানবতাবোধ ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশে সুফিবাদ খুবই প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ। সুফিবাদে মানুষের প্রতি ভালবাসার যে কথা বলা হয়েছে, এই মূল্যবোধ ধারণ ও চর্চা করতে হবে। সকলের মধ্যে তা জাগিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হবে। জঙ্গীবাদ, উগ্রবাদ, হানাহানি দূর করতে এই চিন্তাগুলো কাজে লাগাতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, তরুণ প্রজন্ম আমাদের ভবিষ্যত। অবশ্যই তাদের নৈতিকতা ও মানবিকতার বিকাশ প্রয়োজন। তাদেরকে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি ভাল মানুষ হতে হবে। তাহলেই দেশ মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন হয়ে এগিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা করে তরুণদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। বলা হয় মরলেই বেহেস্ত। তরুণদের মাঝে এই মিথ্যা মাদকতা ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। দেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা বর্জন করে সুষ্ঠুপথে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সেই ধারায় অগ্রসর হতে হবে। লিয়াকত আলী চৌধুরী বলেন, আমাদের সমাজ সভ্যতা বিবর্তনে ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আধ্যাত্মবাদ ছাড়া ধর্মকে কল্পনা করা যায় না। সব ধর্মেই আধ্যাত্মবাদ রয়েছে। ইসলামও এর ব্যতিক্রম নয়। আধ্যাত্মবাদের অন্যতম শিক্ষা হলো আত্মশুদ্ধি। এর মাধ্যমে মানুষ নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে সুফিবাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। মানুষ হানাহানির বিরুদ্ধে সচেতন হয়েছে। এটিই সুফিবাদের সফলতা।
×