ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে, এমনকি পুলিশকেও ছাড় নয় ॥ ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে,  এমনকি পুলিশকেও ছাড় নয় ॥ ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার সড়কে দায়িত্ব পালনকালে কোন পুলিশ সদস্য নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনপ্রকার ছাড় দেয়া হবে না। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের পাশাপাশি নগরবাসীকে আরও সহযোগিতা করতে হবে। দিনকে দিন ঢাকায় সড়কের শৃঙ্খলা ফিরে আসছে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে আরও কঠোর হবে পুলিশ। শনিবার রাজধানীর শাহবাগে মাসব্যাপী ট্রাফিক সচেতনতা কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি পুলিশকেও না। পুলিশের কোন সদস্য ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যেই অনেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ট্রাফিক পুলিশ, ইউনিফর্ম পুলিশ বা অন্য কোন পুলিশ কোন ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করতে পারবে না। পুলিশের যেসব সদস্য গাড়ি চালান, তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ সকল কাগজপত্র থাকতে হবে। তা না হলে পাবলিকের বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়, একই রকম ব্যবস্থা নেয়া হবে ওইসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও। ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা আনতে না পারার জন্য সবার অসচেতনতাও অনেকাংশে দায়ী। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য শুধু ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করলেই হবে না, পথচারীদের চলাচলের জন্য সুব্যবস্থা করা এবং নানা ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে। তাছাড়া মাত্র ৪ হাজার ট্রাফিক সদস্য দিয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু করা প্রায় অসম্ভব। তবে সবার আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে। আলোচনায় অংশ নিয়ে সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, স্কুল কলেজের পাঠ্য বইয়ে ট্রাফিক সচেতনতার বিষয় যোগ করতে, তৃতীয় শ্র্রেণী পর্যন্ত সেটা হলেও, বড় ক্লাসগুলোতে তা হচ্ছে না। যদি তা করা হতো, তাহলে আরও তরুণ ছেলে মেয়েকে সচেতন করা যেত। আমি মনে করি সচেতন হবার কোন বিকল্প নেই। সবাইকে ৩ মাস করে সময় দেয়া হোক, স্কুল, কলেজ, গার্মেন্টস, যে যার যার অবস্থান থেকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন হবেন। যদি ৯ মাসে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি, তাহলে ৩ মাসে ট্রাফিক সচেতন কেন হতে পারব না। অনুষ্ঠানে ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল ইসলামসহ বাসচালক ও মালিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
×