ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মহানগরের উন্নয়নে চউক বাস্তবায়ন করছে ১৪ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প

বদলে যাচ্ছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের চেহারা ॥ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সফল রূপ

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বদলে যাচ্ছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের চেহারা ॥ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সফল রূপ

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন আমি নিজ হাতে তুলে নিলাম’- ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে এ ঘোষণা আসে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে। সময় গড়িয়ে আগামী সংসদ নির্বাচন অত্যাসন্ন। চট্টগ্রামের প্রায় ৬০ লাখ মানুষের মাঝে এখন প্রধানমন্ত্রীর ওই আন্তরিক ঘোষণার প্রেক্ষাপট নিয়ে নানামুখী বিশ্লেষণ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় ও বাস্তবতার নিরিখে শুধু চট্টগ্রাম মহানগর নয়, বৃহত্তর চট্টগ্রামজুড়ে সরকার এক লাখ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়সাপেক্ষ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে। বিদ্যুত, গ্যাস, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে ইতোমধ্যে বহু প্রকল্প আলোর মুখ দেখেছে। কিছু সমাপ্তির পথে। আর কিছু সম্পন্ন হবে সরকারের মেয়াদ পরবর্তী সময়ে। তবে এতে যদি কোন প্রতিবন্ধকতা নেমে না আসে। চট্টগ্রামের মানুষ আশাবাদী। কারণ, এসব প্রকল্পের সুফল শুধু চট্টগ্রামবাসীই নয়, গোটা দেশবাসীর জন্য বয়ে আনবে সফলতা। কক্সবাজারের মহেষখালীর এলএনজি টার্মিনাল, তাপবিদ্যুত প্রকল্প, বাঁশখালীর তাপবিদ্যুত প্রকল্প, মীরসরাই ও আনোয়ারায় দুটি বিশাল অর্থনৈতিক জোন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে এর দক্ষিণপারে আনোয়ারায় সমুদ্র তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ প্রকল্প ছাড়া শুধু চট্টগ্রাম মহানগরীতে নেয়া হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকায় ১১ প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন এককভাবে দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) ওপর। প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চউকের কর্ণধার অর্থাৎ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে পাঁচ দফায় এক্সটেনশনও দিয়েছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবদুচ ছালামকে চউকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হয়। চউকের ইতিহাসে তিনিই প্রথম রাজনৈতিক নিয়োগ। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদে আসীন আবদুচ ছালাম প্রায় এক দশক ধরে মহানগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মে নিরলস এক কর্মযোগী হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি একে একে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, করে চলেছেন। এসব প্রকল্প কাজের কিছু প্রধানমন্ত্রী সচক্ষে দেখেছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীসহ সরকারী বিভিন্ন এজেন্সি থেকে রিপোর্ট নিয়েছেন। ফলে সফলতার যোগফল চউকের পক্ষেই গেছে। যা চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের জন্য হয়েছে প্লাস পয়েন্ট। ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কিছু কাজও চউকের ওপর অর্পণ করেছে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল। এর নেপথ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যে রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ রাখে না। বিষয়টি অতীতের সকল সময়ের রেকর্ড ভেঙ্গেছে। সঙ্গত কারণে উন্নয়ন কর্মকা-ে চট্টগ্রামে আলোচনার পাদপীঠে চউক। মহানগরীতে দৃশ্যমান এবং বড় সব প্রকল্পই চউকের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও চউক এতে নির্ভার। কারণ, খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রতিটি প্রকল্পের উন্নয়ন, অগ্রগতিসহ যাবতীয় দিক নিয়ে হিসাব-নিকেশ কষায় লিপ্ত রয়েছে। বিশাল কর্মযজ্ঞে ছোটখাট ভুল বা ত্রুটি একদম যে নেই তা বলা না গেলেও সরকারের নীতিনির্ধারক মহল যে সন্তুষ্ট তার প্রমাণ চউক চেয়ারম্যান পদে আবদুচ ছালামকে পাঁচদফায় এক্সটেনশন দেয়া এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নিয়ন্ত্রণাধীন বড় কিছু কর্মকা-ও চউকের ওপর অর্পণ করা। ফলে একদিকে চউক যেমন কর্মমুখর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, তেমনি এর কর্ণধার আবদুচ ছালামও আলোচনার পাদপীঠে রয়েছেন। চউক যে মন্ত্রণালয়ের অধীন সেই মন্ত্রণালয় অর্থাৎ গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দফায় দফায় চউকের সফলতার কথা তুলে ধরেন। এতে চউক আরও আত্মপ্রত্যয় নিয়ে প্রকল্প কাজ এগিয়ে নিতে সাহস পাচ্ছে। নগর পরিকল্পনাবিদের অনেকে প্রকল্পের নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ এবং এর সঙ্গে সমালোচনার মনোভাব প্রকাশ করে থাকে। যা সম্পূর্ণ অসাড় হয়ে আছে। চউকের প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের হিসাবের খাতায় দেখা যায়, বর্তমানে চলমান সংস্থার আট মেগা প্রকল্পের কাজ যখন সম্পন্ন হবে তখন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ নগরীর বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের চেহারা ভিন্ন রূপ যে নেবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে সে কথা বলা যাবে না। কারণ, এ নগরে মানুষ বাড়ছে, তেমনি সমস্যাও বাড়ছে। যানবাহন বাড়ছে। সুতরাং নতুন নতুন সঙ্কটও তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে চউকের নিয়ন্ত্রণে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে পতেঙ্গা থেকে ১৮ কিলোমিটার সিটি আউটার রিং রোড, পতেঙ্গায় বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র, ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ বোস্তামী রোডের ৬ কি.মি. বাইপাস রোড, অনন্যা উপশহর প্রকল্প আবাসিক ২শ’ ফ্লাটের ‘সিডিএ স্কয়ার’ প্রকল্প, মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, চাক্তাই খালের মুখ থেকে কালুরঘাট ব্রিজ পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী ৮ কি.মি. বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ, লালখান বাজার থেকে বিমান বন্দর পর্যন্ত ১৮ কি.মি. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প। এই আট মেগা প্রকল্পের বিপরীতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ইতোমধ্যে চউকের তত্ত্বাবধানে ৬ হাজার কাটি টাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ৩০ বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসবই খোদ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতির অংশ। এসব ছাড়াও চউকের সমাপ্ত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কালুরঘাট থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত ৬ কি.মি. রাস্তা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, বহদ্দারহাট থেকে চন্দনপুরা গণি বেকারি পর্যন্ত সড়ক, চকবাজার থেকে আন্দরকিল্লা পর্যন্ত সিরাজুদ্দৌলা সড়ক, আন্দরকিল্লা থেকে লালদীঘিরপার পর্যন্ত সড়ক, ফিরিঙ্গি বাজার রোড, সদরঘাট রোড, পাঠানটুলী রোড, ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড, সাগরিকা রোড, বায়েজিদ রোড, অক্সিজেন-কুয়াইশ সংযোগ রোড (যা এখন বঙ্গবন্ধু এভিনিউ), ডিসি রোড, অক্সিজেন থেকে চকবাজার পর্যন্ত হাটহাজারী রোড, কালুরঘাট ভারি শিল্প এলাকার রাস্তা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, মোহরা রোড নেটওয়ার্ক। এর পাশাপাশি রয়েছে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’-যা দেশের সর্বোচ্চ। অবশ্য এসব প্রকল্পের কিছু কিছু ইতোপূর্বেকার ধারাবাহিকতার অংশ। তবে সম্পন্ন হয়েছে এ সরকারের আমলে সফলভাবে। চউক চেয়ারম্যানের চিন্তাধারায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা হয়েছে সিডিএ গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সিডিএ পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সিডিএ শিশু কানন স্কুল। পরিবর্তন আনা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজ ও চট্টগ্রাম হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজের অবয়বের। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী প্যারেড ময়দানের উন্নয়ন সাধনও হয়েছে। চউকের উদ্যোগে আরও সেসব প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে তন্মধ্যে রয়েছে অনন্যা আবাসিক এলাকায় আন্তর্জাকিমানের এ্যাপোলো নামের হাসপাতাল,বাকলিয়ায় কল্পলোক আবাসিক এলাকায় চট্টগ্রামের একমাত্র মডেল মসজিদ, সল্টগোলায় নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমিটরি। বাস্তবায়িত হয়েছে বহদ্দারহাট জংশনে এমএ মান্নান ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার, মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ফ্লাইওভার, দেওয়ানহাট ওভারপাস, কাজির দেউড়ি মার্কেট আধুনিকায়ন, নিউমার্কেটের সংস্কার সাধন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, চট্টগ্রামজুড়ে রয়েছে ১৬ সংসদীয় আসন। তন্মধ্যে মহানগরীতে রয়েছে ৪টি। অবশিষ্ট ১২টির মধ্যে আরও ৬টির কিছু অংশ মহানগরীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দু’বারের ক্ষমতায় থাকার সময়ে চট্টগ্রামের উন্নয়ন চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ নগরে বড় সব মেগাপ্রকল্প চউক দিয়েই বাস্তবায়ন হয়েছে, হচ্ছে, কয়েকটি সমাপ্তির পথে। কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে যে টানেল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এটিও সর্বপ্রথম চউকের চিন্তায় আসে, যা পরবর্তীতে ভিন্ন সংস্থা দিয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে চীনা আর্থিক সহায়তায়। টানেলের বিদ্যুত ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য একটি বিদ্যুত প্রকল্পও বাস্তবায়ন হচ্ছে। চউকের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদনমূলক পুস্তিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। যার প্রচ্ছদ শিরোনাম জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান-স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে চট্টগ্রাম। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রামবাসীর কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, এখনও হচ্ছে। বিশাল কর্মযজ্ঞ যেখানে সেখানে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়া অনাকাক্সিক্ষত নয়। তবে তা সাময়িক। এটা না মানলে যে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন যে অসম্ভব তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতোপূর্বে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজে গার্ডার স্থানান্তরকালে অসাবধানতাবশত ৩টি পড়ে যাওয়ার কারণে মানুষ মরার ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তারপরও কর্মযজ্ঞ থেমে থাকেনি। এ কাজে সেনা সহায়তা নেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। এখন নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল সংস্কারের কাজও চলছে সেনা সহায়তায়। যহেতু আগামী দিনের চলার পথ মসৃণ করাই এ সরকারের লক্ষ্য, সেখানে কর্মযজ্ঞে মানুষের সাময়িক ভোগান্তি আসবেই। এ নিয়ে চউকের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত নানা প্রচার চালানো হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এদিকে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রচার হয়েছে। এ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে নগরবাসীর আলোচনায় আসবে কর্মযজ্ঞের নানা ইতিকথা। পাওয়া না পাওয়া, উন্নয়ন, ক্ষেত্রবিশেষে উন্নয়ন বঞ্চনাসহ রাজনীতির আলোচনায় সাতকাহন। পর্যালোচনায় দেখা যায়, মহানগরে যে উন্নয়ন কর্মকা- ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং হতে চলেছে তার বড় অংশ চউকেরই। যে সংস্থার চালিকার আসনে রয়েছেন চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। যিনি একদিকে ব্যবসায়ী, অপরদিকে রাজনীতিক এবং বর্তমানে সরকারী এই সংস্থার কর্ণধার। জীবিকার তাগিদে যৌবনে যাকে চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র খাতুনগঞ্জে ব্রোকারি, হকারি এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে নিজ ক্ষুদ্র কারখানায় উৎপাদিত পণ্য ফেরি করতে হয়েছে। চট্টলবীরখ্যাত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর হাত ধরে ছালামের রাজনীতিতে আগমন। আগামী সংসদ নির্বাচনে তার এলাকার জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ (চট্টগ্রাম-৮, চাঁন্দাও-বোয়ালখালী) তাকে এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাপে রেখেছে। এ ব্যাপারে তারও যে ইচ্ছা নেই তা নয়। জনকণ্ঠের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেল। তার একটাই বক্তব্য-জননেত্রী যে কাজ দেবেন তাতে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়বেন। আর না দিলেও সহযোগিতায় থাকবেন। কারণ, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলে এই চট্টগ্রামকে বদলে দেয়ার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন তাতে তার সংশ্লিষ্টতাও স্থান পাবে। এটি তিনি লালন করেন।
×