ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানী আমলের গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে সঙ্কলিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু মাথানত করেননি

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু মাথানত করেননি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাকিস্তানী আমলের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সঙ্কলিত ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং গুরুত্বপূর্ণ এই দলিলাদি বই আকারে প্রকাশ করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সবার হাতে তুলে দিতে পারলাম যেন বাংলাদেশের জনগণ জানতে পারে। এমনকি ভাষা আন্দোলন নিয়ে এমন কথা বলা হয়েছে যে ‘ভাষা আন্দোলন নিয়ে উনি তো জেলে ছিলেন, ভাষা আন্দোলন কি করে করলেন’! এই যে মানুষের একটা বৈরী চিন্তা-ভাবনা আমি আশা করি- এই ডকুমেন্টগুলো পেলে পরে সবাই সত্যটা জানতে পারে। শুক্রবার বিকেলে গণভবনে তৎকালীন পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথিগুলো নিয়ে ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শিরোনামে ১৪ খন্ডে প্রকাশিতব্য বইয়ের প্রথম খন্ডের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। শুরুতে প্রথম খ-ের মোড়ক উন্মোচন করেন বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, যে নামটি (বঙ্গবন্ধু) মুছে ফেলতে চেয়েছিল, সে নাম আজ বিশ্বের মানুষের মুখে মুখে। সত্যকে কখনও মুছে ফেলা যায় না, ইতিহাস থেকে বাদ দেয়া যায় না। জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ আজ বিশ্বের অন্যতম ভাষণ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই বইটিতে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্যের সন্ধান মিলবে। যা সঠিক ইতিহাস জানতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কারণ, এটা জাতির পিতার বিপরীত চিন্তার মানুষের কাজ। অর্থাৎ পূর্বপাকিস্তান সরকারের ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (ইবি) ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু যেসব রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ করেছেন। ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতী মানুষের কল্যাণে তিনি কী কী করেছেন। মানুষের মুক্তির জন্য তিনি দেশব্যাপী কী কী কর্মসূচী করেছেন ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ তা লিপিবদ্ধ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধাপে ধাপে তিনি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যান। এর পরিণতি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এবং বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা। এই আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে তাকে বার বার কারাবরণ করতে হয়েছে, অনেক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন কিছুতেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি কখনও মাথানত করেননি। তিনি যে সংগ্রাম করেছেন তার কারণ-যে আত্মত্যাগ তিনি করেছিলেন তার পেছনে মূল কারণটাই ছিল বাংলাদেশের মানুষ যে শোষিত-বঞ্চিত নির্যাতিত ছিল। এই নির্যাতিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারি, হাক্কানী পাবলিশার্স-এর প্রকাশক গোলাম মোস্তফা, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান। এর আগে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। বইটির প্রথম খন্ড ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত ডকুমেন্টের ওপর ভিত্তি করে সঙ্কলিত হলেও এ খন্ডে ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের পূর্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা ও মানবদরদী মনের পরিচয় পাওয়া যায়। ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামী জীবনের প্রথম দিকের জানা-অজানা অনেক তথ্যের সন্নিবেশ ঘটেছে এ খন্ডটিতে। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধাদের। উৎসর্গপত্রে লেখা আছে- ‘বঙ্গবন্ধু তার সংগ্রামী জীবনের সকল সহযোদ্ধাদের প্রতি...’। বইটি প্রকাশ করছে হাক্কানী পাবলিশার্স। প্রচ্ছদ করেছেন সমর মজুমদার। প্রতিটি খন্ডের প্রচ্ছদের ডিজাইন একই। ৫৮২ পৃষ্ঠা সম্বলিত প্রথম খন্ডের মূল্য ৯০০ টাকা। অনুষ্ঠানে স্পীকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার একেএম নুরুল হুদাসহ মন্ত্রিসভার সদস্যগণ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যগণ উপস্থিত ছিলেন। মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্য ও বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে একটি জাতিকে স্বাধীনতার সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেন। প্রতিটি জায়গায় তিনি এই বৈষম্য, বঞ্চনার কথা তুলে ধরতেন। বলতেন যে, আমরা সংখ্যায় বেশি অথচ আমরা সব জায়গা থেকে বঞ্চিত। বঞ্চনার বিরুদ্ধে তিনি লড়াই সংগ্রাম করেছেন, সোচ্চার হয়েছেন। আর এ কারণেই মনে হয় যে তার প্রতি একটি বৈরী মনোভাব ছিল। তার ফলাফলটা ছিল এই তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা সব সময় সক্রিয়। তার প্রতিটি কাজের রিপোর্ট তৈরি করত পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ, আর এই রিপোর্ট তারা পাঠাত। এই রিপোর্টের ওপর তার বিরুদ্ধে মামলা, কারাগারে বন্দী করা হতো। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ৪৬টি ফাইল, ৪০ হাজারের মতো পাতা। সেগুলোকে বসে এডিট করে করে এর যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ আজকে আমরা তা প্রকাশ করতে পেরেছি। এখানে অমূল্য তথ্য ভান্ডার রয়েছে। ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের রিপোর্ট সবই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে, এই বিরুদ্ধে রিপোর্ট তারপরও আমরা কেন প্রকাশ করলাম এটা অনেকের মনে আসতে পারে। পৃথিবীতে কোথাও কোন দেশে কেউ কখনও কোন নেতার বিরুদ্ধে রিপোর্ট হলে সেটা প্রকাশ করেছে কি না জানি না। আমার মনে হয় আজ পর্যন্ত কেউ করেনি। কিন্তু আমার আগ্রহ এই কারণে যে এই রিপোর্টের মধ্যে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতার প্রতিটি কর্মকান্ড, গতিবিধি, কোথায় গিয়েছেন, কোন মিটিং করেছেন, কোথায় কি বলেছেন, তার অনেক তথ্য সেখানে আছে। যে সকল চিঠি জাতির পিতার কাছে গেছে তার অধিকাংশ বাজেয়াফত করা ছিল এবং অনেক চিঠি তিনি সেগুলো প্রাপকের কাছে কোন দিন পৌঁছেনি। কিন্তু সেই চিঠি পত্রগুলোও পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের বহু নেতাকর্মীর নাম এখানে পাওয়া যাচ্ছে। এসব তথ্যের সবই প্রকাশ করা হচ্ছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ৭১ পর্যন্ত সব তথ্য আছে। এই ডকুমেন্টের মধ্যে বঙ্গবন্ধু যে কাজগুলো করে গেছেন তার অনেক কিছু পাওয়া যাবে। এটাতো পক্ষের কিছু না সবই তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট আর বিরুদ্ধে রিপোর্টের মধ্যে দিয়ে আমার মনে হয় সব থেকে মূল্যবান তথ্য আবিষ্কার করতে পারব। যেমন কয়লা খনি খুঁড়ে খুঁড়ে হীরা বেরিয়ে আসে। হীরার খনি পাওয়া যায়। আমার মনে হয়েছে ঠিক সেভাবেই আমরা হীরার খনি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সত্যকে কখনও চাপা দেয়া যায় না। ১৯৫২ সালে জাতির পিতা চীন সফর করেছিলেন। ওই সফরের ওপর আরও একটি বই ছাপানো প্রায় সম্পন্ন। দ্রুতই তা প্রকাশ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে বসে স্মৃতিকথা বলে আরও কিছু লিখেছিলেন। সেসব তথ্য যোগাড় করে আরও একটি বই প্রকাশের কাজ চলছে। এই বইটা পড়লে মানুষ জানতে পারবে বঙ্গবন্ধু কীভাবে সংগ্রাম করেছেন, দেশ নিয়ে কী তার চিন্তা ছিল। জাতির পিতার এই আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। মানুষের উন্নত জীবনের আকাক্সক্ষা বৃথা যেতে পারে না। বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল। কিছু কিছু পাকিস্তানী বুদ্ধিজীবী বলেছে, পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বানিয়ে দিতে। তার মানে বাংলাদেশ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রগতি কেউ রুখতে পারবে না। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তুলবোই। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পরম সতীর্থ প্রয়াত সাংবাদিক বেবী মওদুদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আমি আমার বন্ধু বেবী মওদুদ মিলে দীর্ঘদিন ধরেই এ কাজটি করছিলাম। ১৯৯৬ সালে প্রথম যখন ক্ষমতায় আসি তখন যখন এসবি’র ডিআইজি ছিলেন সামসুদ্দিন সাহেব তাকে বলেছিলাম এসবি সংগ্রহ শালায় এমন রতœভা-ার আছে তা যেন তিনি সংরক্ষণ করেন। পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী তখন এসবির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তার ২২ জন এসবির সদস্য নিয়ে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এ কাজটি করে যান। আমি দেখেছি এরা এ কাজটি করতে গিয়ে কীভাবে মগ্ন হয়ে যান। কত কষ্ট করে এই নথিগুলোকে উদ্ধার করে কাজটি সম্পাদন করেন। তাদের এ আন্তরিকতার জন্য তিনি খুশি হয়ে বইটির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার সঙ্গে ছবি তোলেন। এবং পরবর্তী ১৪ খন্ড দ্রুততার সঙ্গে প্রকাশের জন্য বইটির প্রকাশক হাক্কানী পাবলিশার্সের কর্ণধারকে বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোন শেখ রেহানা, বোনের ছেলে ববীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আমি যখন খবর পাই যে স্পেশাল ব্রাঞ্চের সংগ্রহ শালায় এমন নথি আছে তখন সেখানে যাই। দেখি কী অবস্থায় আছে এসব নথিগুলো। তখন আমার সহকর্মীরা বলেছিল, স্যার এটা বোধহয় করা সম্ভব হবে না। কারণ ময়লা ধুলাবালি আর কাগজের স্তূপ। সেখানে কাজ করতে গিয়ে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু আমি আমার সহকর্মীদের নিয়ে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লোবস পরে কাজে হাতে দেই। এক পর্যায়ে গিয়ে একটা বান্ডিল পাই। তিনি বলেন, কী পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যে নথিগুলোকে উদ্ধার করি তা বলে বোঝানো যাবে না। কাগজে হাত দেয়ার পর বিস্কুটের মতো ভেঙ্গে যেত। আর্কাইভের স্পেশালিস্টদের যুক্ত করি এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে কাজটি করি। সভাপতির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, জীবনে অনেক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছি কিন্তু আজকের মতো এমন দুর্লব বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এই প্রথম করলাম। এত পরিশ্রম করে এমন অপূর্ব বই পৃথিবীর আর কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমি মনে করি এই বইটি না হলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনা সম্ভব হতো না। অনুষ্ঠানের আলোচক বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, এই বইটি পাঠ করার পর শুধু বঙ্গবন্ধুর নয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস স্পষ্ট হবে। বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি পূর্ণ জীবনী গ্রন্থ রচনা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বইটির তত্ত্বাবধানের কাজে ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান।
×