ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতেও শুরু হয়েছে নো হেলমেট নো ফুয়েল

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নীলফামারীতেও শুরু  হয়েছে নো হেলমেট নো ফুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কর্মসূচী শুরু করেছে নীলফামারী জেলা পুলিশ। ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্ত জেলার ৩৫টি পেট্রোল পাম্পগুলো বাস্তবায়ন শুরু করেছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের এই সিদ্ধান্তের ঘোষণার পর শুক্রবার হতে মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ শতভাগ কার্যকারীতার রূপ পেয়েছে। এখন জেলা জুড়ে পুরো দৃশ্যপট বদলে গেছে। সকল মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীরা রীতিমতো হেলমেট ব্যবহার করছে। রশিদা ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আফজাল হোসেন জানান, নীলফামারী থানা পুলিশ নোটিশ লাগিয়ে দিয়ে যায়। আমরা সেটি বাস্তবায়ন করছি। যে সকল মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট নেই তাদের আমরা পেট্রোল দিচ্ছি না। এতে করে মোটরসাইকেল চালকরা হেলমেট ব্যবহার করতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, বিষয়টি প্রচার এবং জানাজানির ফলে সফলতা পেয়েছে। মজার বিষয় হেলমেট না থাকায় পেট্রোল পাম্পে তেল না পাওয়ার লজ্জায় শেষ মেষ হেলমেট কিনেই তেল নিয়েছেন নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের দরবেশ পাড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আমি কখনও হেলমেট ব্যবহারও করিনি, এমনকি কখনও কিনিওনি। আজই প্রথম কিনলাম বাধ্য হয়ে। হেলমেট কিনে লাভই হয়েছে। নিজের ভাল জন্যই এই হেলমেট। তিনি বলেন, যাতে এই উদ্যোগ ভেস্তে না যায় সেজন্য কঠোর মনিটরিং করতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। রফিকুল চৌধুরী পাম্পের তেল সরবরাহকারী সুভাষ চন্দ্র বলেন, আমরা নোটিস পাওয়ার পর মোটরসাইকেল চালকদের প্রথম তিনদিন সতর্ক করে দিয়েছি। শুক্রবার থেকে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল আরোহীদের মাঝে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেই। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, জেলার ছয় উপজেলায় ৩৫টি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী সদরে ১০টি, সৈয়দপুরে ১০টি, জলঢাকায় ৪টি, ডোমারে ৪টি, ডিমলায় ৪টি এবং কিশোরীগঞ্জে ৩টি। তিনি জানান, কোন পাম্পে যদি এই সিদ্ধান্ত মানা না হয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
×