ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ছুটির সন্ধ্যায় সুরে সুরে ছায়ানটের সাম্যের কবি নজরুল স্মরণ

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 ছুটির সন্ধ্যায় সুরে সুরে ছায়ানটের সাম্যের কবি নজরুল স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুরে সুরে স্মরণ করা হলো সাম্যের কবি নজরুলকে। সঙ্গীত পরিবেশনার সঙ্গে ছিল কবিতার শিল্পিত উচ্চারণ। এভাবেই গান ও কবিতায় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। শুক্রবার ছুটির দিনের সন্ধ্যায় কবির প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। নজরুলের রাগাশ্রয়ী গানের সুরেলা শব্দ ধ্বনিতে সিক্ত হয় শ্রোতার অন্তর। কবির সৃষ্টির ঐশ্বর্যময় পরিবেশনা উপভোগে শ্রোতায় পরিপূর্ণ ছিল ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তন। ছায়ানটের শিল্পীরা শুনিয়েছেন নজরুলের ভাদর, প্রেম আর দেশের গান। সম্মেলক সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শুরুতেই ছায়ানটের বড়দের দল গেয়ে শোনান ‘শুভ্র সমুজ্জ্বল হে চির-নির্মল’। বড়দের দল আরও গেয়ে শোনায় ‘দেশ গৌর-বিজয়ে দেবরাজ’ ও ‘মৃত্যু নাই, নাই দুঃখ’ গান দু’টি। সম্মেলক কণ্ঠে ছোটরা পরিবেশন করে স্নিগ্ধ শ্যাম-বেণী-বর্ণা এসো’ ও ‘সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়’ শিরোনামের দুটি গান। সম্মেলক সুরের সঙ্গে ছিল একক কণ্ঠের পরিবেশনা। তানভীর আহমেদ গেয়ে শোনান ‘ডাকতে তোমায় পারি যদি’। নাসিমা শাহীন ফ্যান্সির কণ্ঠে গীত ‘ভাদরের ভরা নদীতে ভাসায়ে’। মনীষ সরকার পরিবেশিত গানের শিরোনাম ছিল ‘আমার ভবের অভাব লয়’। নুসরাত জাহান রুনা গেয়ে শোনান ‘শিউলী ফুলের মালা দোলে’। রেজাউল করিমের কণ্ঠে গীত হয় ‘মেঘের ডমরু ঘন বাজে’। নাহিয়ান দুরদানা শুচি পরিবেশন করেন ‘জয় ব্রহ্মবিদ্যা শিব-সরস্বতী’। প্রিয়ন্ত দেব গেয়েছেন ‘কেমনে রাখি আঁখি-বারি’। ফারহানা আক্তার শ্যার্লির শুনিয়েছেন ‘আয় মরু পারের হাওয়া’ শিরোনামের গান। সৈয়দা সনজিদা জোহরা বীথিকা গেয়েছেন ‘রস- ঘনশ্যাম- কর‌্যাণ সুন্দর’। জান্নাত-ই-ফেরদৌসী লাকী গেয়ে শোনান ‘ওরে নীল যমুনার জল’। এছাড়াও একক কণ্ঠে গান খায়রুল আনাম শাকিল। নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী কৃষ্টি হেফাজ ও রফিকুল ইসলাম। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠান। শিল্পী সংস্থার রবীন্দ্র-স্মরণানুষ্ঠান ॥ গত বাইশে শ্রাবণ ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে প্রয়াণবার্ষিকী। এ উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা আয়োজিত দুই দিনব্যাপী রবীন্দ্র-স্মরণানুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘অহংকার চূর্ণ করো/প্রেমে মন পূর্ণ করো’। দুই দিনের এই স্মরণ-সঙ্গীতানুষ্ঠান সাজানো হয়েছে রবীন্দ্রনাথের গীতবিতান থেকে নির্বাচিত পূজা, প্রেম, প্রকৃতি, স্বদেশ ও বিচিত্র পর্যায়ের শতাধিক গান দিয়ে। সংস্থার ৮০ জন শিল্পীর পাশাপাশি আমন্ত্রিত শিল্পীরাও এই স্মরণ-সঙ্গীতানুষ্ঠানে একক ও দ্বৈত পরিবেশনায় অংশ নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সংস্থার শিল্পীদের কণ্ঠে পরিবেশিত ‘সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা’ ও ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ শীর্ষক সম্মেলক সঙ্গীতের আশ্রয়ে। এরপর ছিল একক কণ্ঠের গান। একক কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আসিফুল বারী, অনিন্দিতা রায়, লিটন চন্দ্র বৈদ্য, সেমন্তি মঞ্জরী, আজিজুর রহমান তুহিন, আবদুল ওয়াদুদ, আবদুর রশিদ, জয়ন্ত আচার্য্য, প্রমোদ দত্ত, মামুন জাহিদ খান, অনুশ্রী ভট্টাচার্য, বুলা মাহমুদ, ছায়া কর্মকার, আমিনা আহমেদ প্রমুখ। তাদের কণ্ঠে গাওয়া গানগুলোর শিরোনাম ছিল ‘চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে’, ‘চির সখা, ছেড়ো না মোরে ছেড়ো না’, ‘শেষ বেলাকার শেষের গানে’, ‘তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে’, ‘আজ তোমারে দেখতে এলেম’, ‘মেঘের কোলে কোলে যায় রে চলে’, ‘আমার যে দিন ভেসে গেছে’, ‘অন্ধকারের উৎস হতে’, ‘ভুবন জোড়া আসনখানি’, ‘আমার দিন ফুরালো’, ‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে’সহ কবিগুরুর প্রচলিত ও অপ্রচলিত গান। আজ শনিবার সমাপনী ও দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। এদিনও একই মঞ্চে গান পরিবেশন করবেন দেশের প্রবীণ-নবীন শিল্পীরা। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত। যৌথ চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘মৃন্ময় বাংলা’ ॥ মহাখালীর নিউ ডিওএইচএসের গ্যালারি কসমস। শুক্রবার থেকেই প্রদর্শনালয়টিতে শুরু হলো চার নবীন শিল্পীর যৌথ চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। এই চার শিল্পী হলেন ঝোটন চন্দ্র রায়, মো. কামরুজ্জোহা, মানিক বণিক ও সুমন কুমার সরকার। তাঁদের আঁকা চিত্রকর্মে সজ্জিত প্রদর্শনীটির শিরোনাম ‘মৃন্ময় বাংলা’। সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিস্ পানপিমন সুয়ান্নাপংস। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী কালিদাস কর্মকার। পক্ষকালব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
×