ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চরের মানুষের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  চরের মানুষের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন

ফিরোজ মান্না ॥ চরের মানুষ এখন আর আগের মতো পিছিয়ে থাকবে না। ধীরে ধীরে তাদের দুঃখ বঞ্চনা কমে আসবে। তারাও অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে এগিয়ে যাবে। সরকার চরের মানুষের জীবন মানোন্নয়নে বহুমুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তাদের অনেক পরিবর্তন ঘটবে। তবে চরের মানুষের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে হলে অবশ্যই একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ‘চর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা চর বোর্ড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছে ন্যাশনাল চর এ্যালায়েন্স নামের প্রতিষ্ঠানটি। সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানও চরের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে পারবে। ন্যাশনাল চর এ্যালায়েন্সের এক কর্মকর্তা বলেন, চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, কিন্ত দুর্ভাগ্য এই টাকা চরের মানুষের জন্য খরচ হচ্ছে না। এটা খুব দুঃখজনক। আমরা চাই চরের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকার এ প্রকল্প হাতে নিলেও কাজ হচ্ছে না। তার জন্য বরাদ্দ টাকা চরের মানুষের জন্য ব্যয়ও হয় না। পরিকল্পনার অভাবে চরের মানুষের টাকা ব্যয় হচ্ছে না। বাজেটে বরাদ্দ চরের মানুষের জন্য খরচের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে যাতে বাজেটে আরও বেশি টাকা বরাদ্দ করা যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকল্পটি যথাযথ বাস্তবায়ন হলে চরের মানুষের জীবনমান অনেক বদলে যাবে। তাদের ভাগ্যের উন্নয়নে প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাশনাল চর এ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সম্প্রতি বলেছেন, চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রকল্পটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের সঙ্গে বেসরকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। সর্বশেষ অর্থবছরের বাজেটে চর ও হাওড়ের উন্নয়নে যে থোক বরাদ্দ দেয়া হয় সেখানে চরের মানুষের উন্নয়নে বরাদ্দ টাকা হাওড়বোর্ডও খরচ করতে পারে। কিন্তু টাকা খরচ না হওয়াটা দুঃখজনক। এ কারণেই চরবাসীর উন্নয়নে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। অবকাঠামো গড়ে তোলা হলে চরের উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ডিজিটাল বাংলাদেশের আওতায় চরে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা আগের যে কোন সরকারের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকারের ইতিবাচক উন্নয়নের এই ধারা তাদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শহরের সঙ্গে চরের পার্থক্য দূর করতে বর্তমান সরকার নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চরের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শহরের পাশাপাশি চরের মানুষও যেন সামনে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাতে তারা শহরের মানুষের মতো ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করতে পারেন।
×