স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নগরীতে ভারতীয় জাল রুপী তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানার বেলদারপাড়ার একটি বাড়িতে র্যাব অভিযান চালিয়ে ১১ লাখ ভারতীয় জাল রুপী জব্দ করে। এছাড়া জাল রুপী তৈরির মেশিনসহ সরঞ্জামাদিও জব্দ করে র্যাব সদস্যরা।
এ সময় ওই বাড়ি থেকে দরদুজ্জামান বিশ্বাস ওরফে জামান (৫৭) নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়। র্যাব রাজশাহীর মিডিয়া উইং এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। র্যাব জানায়, দরদুজ্জামান দেশে ভারতীয় জাল রুপী তৈরির হোতা। এর আগেও একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সে ধরা পড়েছিল।
সর্বশেষ গেল জানুয়ারিতে রাজশাহী থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার কাছ থেকে বিপুল জাল রুপী ছাড়াও ল্যাপটপ, প্রিন্টার মেশিন, লেমিনেটিং মেশিন, হ্যালোজেন লাইট, স্ক্যানিং করার প্রিন্টার ফ্রেম, কাগজ, বিভিন্ন ধরনের কার্টিজ জব্দ করা হয়েছিল। কিছুদিন কারাগারে ছিল দরদুজ্জামান। জামিন পেয়ে সে নগরীর বেলদারপাড়ায় এই বাড়িটি কেনে। এর পর আবার জাল রুপী তৈরির কারখানা গড়ে তুলে। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শেখতোলায়। বাবার নাম রহিদুল ইসলাম।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, বারবার গ্রেফতার হলেও জাল রুপী তৈরি করে তা বাজারে ছড়িয়ে দিয়ে প্রতারণা করে দরদুজ্জামান। সে দেশে জাল রুপী তৈরি চক্রের হোতা। দেশে ভারতীয় জাল রুপী তৈরির ‘গুরু’ হিসেবেও পরিচিত। সে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এক লাখ ভারতীয় জাল রুপীর বান্ডিল বিক্রি করত বলে জানা গেছে। এভাবে বিপুল সম্পদের মালিকও হয়েছে সে।
সূত্রমতে, দরদুজ্জামান ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশী জাল টাকা এবং ভারতীয় জাল রুপী তৈরি করে আসছে। তার চক্রটি ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় জাল রুপী সরবরাহ করে। আর দরদুজ্জামান বরাবরই থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ তালিকায়। তার নামে পাঁচটি মামলা আগে থেকেই ছিল। সর্বশেষ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি আমান উল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব দরদুজ্জামানকে জাল রুপী ও রুপী তৈরির নানা সরঞ্জামসহ থানায় হস্তান্তর করেছে। এ সময় প্রচলিত ধারায় তার বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষ থেকে একটি মামলাও করা হয়।
