ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টিএসসির ওয়াইফাই দীর্ঘদিন বন্ধ, দ্রুত সংযোগ দাবি

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

টিএসসির ওয়াইফাই দীর্ঘদিন বন্ধ, দ্রুত সংযোগ দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) যখন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের উদ্বোধন করা হয় তখন এর নাম ছিল ‘শক্তিশালী ওয়াই-ফাই জোন।’ কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এই নেটওয়ার্ক জোনটির আর কোন অস্তিত্ব নেই। টিএসসিতে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কিংবা আড্ডা অথবা পড়ালেখা- সবকিছুর জন্যই সবাই ছুটে আসে টিএসসিতে। বর্তমানে প্রতিটা ক্ষেত্রেই রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। পড়ালেখা কিংবা প্রযুক্তিগত বিনোদনে জনপ্রিয় মাধ্যম ওয়াই-ফাই সংযোগ। কিন্তু বিশ^বিদ্যালয়ের এই মূল কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে নেই কোন ওয়াই-ফাই সংযোগ। ’১৪ সালে প্রথম সংযোগ দিলেও বর্তমানে এর কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিএসসিকেন্দ্রিক সংগঠন আইটি সোসাইটির উদ্যোগ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ’১৪ সালে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক স্থাপিত হয়। এতে তিনটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ৫০ এমবিপিএস গতির সংযোগ দেয়া হয়। এর ফলে টিএসসির পুরো চত্বর মিলনায়তন কাফেটেরিয়া, ক্লাব রুমসহ আশপাশের ৪শ’ মিটার এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যেত। কিন্তু সংযোগটির ২ বছর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই টিএসসিতে ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে দুই দফা তা মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় টিএসসিতে ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছিল, পরবর্তীতে নিজস্ব মাধ্যম থেকে ব্যান্ডউইথের ব্যবস্থা করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। ঢাবির প্রতিটি বিভাগ, ইনস্টিটিউট, হল ও প্রশাসনিক অফিসে ওয়াই-ফাই সংযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীসহ সবই উপকৃত হন। কিন্তু টিএসসির মতো মিলনকেন্দ্রে কোন ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। টিএসসির বেশকিছু সংগঠন রয়েছে যেগুলোর কোন অফিস নেই। যার ফলে তাদের অফিসিয়াল ইন্টারনেট সংযোগও নেই। এছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে যাদের মূল মিলনকেন্দ্র টিএসসিই। ইংরেজী বিভাগের ইমন, নীলাসহ পাঁচ-ছয় বন্ধু গোল হয়ে বসে আছে টিএসসির খোলা মাঠে। কারও হাতে ক্লাসের লেকচার, কারও হাতে খাতা-কলম আবার কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত। ওরা বলে, সবসময় বিভাগের সেমিনার রুমে বসে কাজ করা যায় না। কিন্তু এখানে ব্রডব্যান্ড সুযোগ না থাকায় ল্যাপটপের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সুযোগ নেয়া যায় না। তারা টিএসসিতে শক্তিশালী ব্যান্ডউইথের দাবি জানায়। একসময় টিএসসি শুধু সংস্কৃতিচর্চার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো, এখন সময় বদলেছে। টিএসসিতে ওয়াই-ফাই সংযোগ দেয়া হয় ’১৪ সালে। সেই থেকেই অনলাইনে পড়াশোনার জন্য জনপ্রিয় স্থানে পরিণত হয়েছে টিএসসি। সারাদিনের ব্যস্ত ক্লাসরুটিন শেষে সন্ধ্যায় বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার পাশাপাশি ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ব্যবহার করেন। অনলাইনে গিয়ে পড়েন দেশ-বিদেশের খবর। তাই প্রযুক্তিগত বিনোদনের কেন্দ্রতে রূপ নিয়েছে টিএসসি। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সায়েম বলেন, আড্ডার সময় কোন বিষয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে, সঠিক তথ্যের জন্যও অনলাইনে ঢুঁ মারতে হয়। কিন্তু টিএসসিতে এসে তা সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি আইটি সোসাইটির তৎকালীন সভাপতি আব্দুল আল ইমরান বলেন, আমরা সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রশাসনকে অনেকবার বলেছি। কিন্তু কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।
×