ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১৭ গ্রামের মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

প্রকাশিত: ০৪:০১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  ১৭ গ্রামের মানুষের ভরসা বাঁশের  সাঁকো

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ১৭ গ্রামের ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো। যুগ যুগ ধরে ওই সাঁকো দিয়েই ইটাখোলা ও পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের মধ্যে চলছে ‘বাঁশের সাঁকোর সেতুবন্ধন।’ জেলা সদরে ইটাখোলা ইউনিয়নের চিনিকুঠি বাজার এলাকায় যমুনেশ্বরী নদী পারাপারে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলার পথের জীবন হয়ে উঠেছে বাঁশের সাঁকো! দীর্ঘদিনের দাবির পরেও ভাগ্যে জুটেনি সেতু। বুধবার সকালে সরজমিনে গেলে দেখা যায় উত্তর দিক থেকে দক্ষিণে বয়ে যাওয়া ওই নদীটি ভাগ করেছে ওই দুটি ইউনিয়নকে। নদীর পূর্ব প্রান্তে পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশশী, ধনীপাড়া, কেরাণীপাড়া, মুন্সিপাড়া, কাছারী পাড়াসহ ১০টি গ্রামের অবস্থান। আর পশ্চিম প্রান্তে ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়ালখাতা, দক্ষিণ কানিয়ালখাতা, চিনিকুঠি, কালারডাঙ্গাসহ সাত গ্রামের অবস্থান। পূর্ব প্রান্তের ১০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ও পশ্চিম প্রান্তে সাত গ্রামে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। এছাড়া চিনিকুঠিতে রয়েছে একটি বাজার, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সেবামূলক নানা প্রতিষ্ঠিান। এসব প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণ, জেলা সদরসহ দূর দূরান্তে চলাচলের জন্য পূর্ব প্রান্তের মানুষ ব্যবহার করেন ওই সাঁকোটি। আর পশ্চিম প্রান্তের সাত গ্রামের মানুষ ওই সাঁকো ব্যবহার করে পঞ্চপুকুর, কচুকাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এবং জলঢাকা ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। বাঁশের ওই সাঁকোটি বন্যা অথবা অন্য কোন কারণে বিধ্বস্ত হলে নদী পারাপারে চরম বিপাকে পড়েন দুই পাড়ের মানুষ। পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হবিবর রহমান সরকার বলেন, ‘যমুনেশ্বরী নদীর ওপর সেতু হওয়া খুবই দরকার। সেতুটি হলে পঞ্চপুকুর ইটাখোলা ইউনিয়নবাসী ছাড়াও আশপাশের ইউনিয়নের মানুষজন উপকৃত হবে। বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বেশি উপকৃত হবে।
×