ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে দরিদ্র নারীদের নামে ঋণ উত্তোলন করে আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৪:০১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 বরিশালে দরিদ্র নারীদের  নামে ঋণ উত্তোলন  করে আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ও বামরাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) পরিচালিত সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচী এখন অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ওই দুই ইউনিয়নে সংস্থাটির গঠিত গ্রাম সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে সমিতির সদস্যদের অজান্তে তাদের নামে ঋণ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রমতে, সংস্থার বামরাইল ইউনিয়নের মোড়াকাঠি গ্রামের সমিতির সভাপতি আম্বিয়া বেগম সদস্যদের নামে ঋণ উত্তোলন করে টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সমিতির সদস্য স্থানীয় গোলাম কিবরিয়া ফরাজীর স্ত্রীর নামে ২০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে অবৈধভাবে আত্মসাত করেছেন আম্বিয়া বেগম। অবৈধভাবে ঋণ উত্তোলনের কথা আম্বিয়া বেগম সাংবাদিকদের কাছে অকপটে স্বীকার করে বলেন, উর্ধতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানেন। অপরদিকে শিকারপুর ইউনিয়নের পূর্ব শিকারপুর সমিতির সভাপতি সাহিনা বেগম ওই ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা এসডিএফ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। সমিতির সদস্য হতদরিদ্র বিধবা বকুল বেগমের নামে ১০ হাজার টাকা ও কহিনুর বেগম নামের আরেক সদস্যের নামে পাঁচ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে সভাপতি সাহিনা বেগম নিজেই আত্মসাত করেছেন। বিষয়টি অভিযুক্ত সাহিনা বেগম স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, এটা সম্পূর্ণ অবৈধ তবুও করেছি। এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে হবে না। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের সহজ-সরল নারীকে প্রলোভন দেখিয়ে সমিতির সদস্য বানিয়ে তাদের না জানিয়ে উত্তোলনকৃত ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য পরবর্তীতে দরিদ্র পরিবারগুলোর ওপর চালানো হবে জোরজুলুম। উপজেলার শিকারপুর ও বামরাইল ইউনিয়নের তদারকির দায়িত্বে থাকা এসডিএফ’র ক্লাস্টার অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালে শিকারপুর ও বামরাইল ইউনিয়নে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) নামের এ বেসরকারী সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ওই দুই ইউনিয়নে সংস্থার ৩০টি সমিতিতে মোট ৫ হাজার ৭১ সদস্য রয়েছে। সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে সভাপতি, সেক্রেটারি ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন করা হয়। তারাই সঞ্চয় ও কিস্তির টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকে জমা করেন। অভিযোগের ব্যাপারে সংস্থার বরিশাল জেলা ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল করিম জিকু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকলে তা তদন্ত করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×