ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী

জনপ্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পূর্ব-পশ্চিম উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধের একটি অঞ্চলের ঘটনা বর্ণনায় লিখেছেন ঠিক এভাবে -‘গাড়িগুলো শেষ পর্যন্ত এসে থামল একটি বিশাল আম বাগানের মধ্যে।...কিছু লোক সেখানে দৌড়াদৌড়ি করে চেয়ার সাজাচ্ছে। অধিকাংশ হাতলভাঙা চেয়ার। কাছাকাছি গ্রামের বাড়িগুলো থেকে জোগাড় করে আনা।...আশপাশের গ্রাম থেকে ধেয়ে এসেছে বিপুল জনতা। সেনাদের বৃত্ত ভেদ করে তারা হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে পড়তে পারছে না বলে অনেকেই আমগাছগুলোতে চড়তে শুরু করেছে।’- বন্ধুরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন জনপ্রিয় এই লেখক কি বোঝাতে চাইছেন তিনি কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের মুজিবনগরে অবস্থিত আম বাগানের কথা বলেছেন তিনি। ক্ষণকালের জন্য হলে ও এটি ছিল বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী। বাঙালী জাতিসত্তার রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের সূচনাভূমি মুজিবনগর। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক প্রতিরোধের প্রথম প্রহর মুজিবনগর। অনেক দিন ধরে ভাবছি নিজের আত্মপরিচয়ের স্মৃতি কেন্দ্র্রে ঘুরে আসব কিন্তু কামলা মানুষ হলে যা হয় ব্যাংক থেকে ছুটির ব্যবস্থা খুব কঠিন কাজ। তারপরও অনেক কষ্ট করে বড় স্যারকে বুঝিয়ে ছুটি নিলাম। আগে থেকে খবর নিয়ে রেখেছিলাম মেহেরপুর যাবার পথ। সূর্য দেবের আঁখি মেলে তাকানোর সঙ্গে সঙ্গে মা ডাকা ডাকি শুরু করে ওঠ তাড়াতাড়ি ওঠ। আমি মাথার ওপর বালিশ দিয়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করলাম এবার বাদসাধল মোবাইল ফোন। এক নাগারে ডাকা শুরু করল। নিতান্ত নিরুপায় হয়ে মোবাইল ফোন ধরতে হলো। খুব বিরক্তির মাঝে ফোন ধরলাম। ওপর প্রান্তে থেকে ভেসে এলো দাদা ঘুম থেকে উঠেন। গলা শুনেই বুঝে নিলাম আমাদের পাইলট ফরহাদ। ওর দোষ নেই অবশ্য ওকে আগের দিন বলেছিলাম সকাল বেলায় তুলে দিতে। নিতান্ত নিরুপায় হয়ে উঠেই যেতে হলো। ঘুম থেকে উঠে শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি নেয়ার পালা। আমার প্রস্তুতির পালা শেষ এদিকে মা খাবার নিয়ে হাজির। লুচি আর ভাঁজি আমি এক কথাতেই না বলে দিলাম খাব না। এত সকাল বেলা খেতে ভাল লাগে না। কিন্তু মাও নাছোড়বান্দা আমাকে না খাইয়ে বের হবেন না। মনে মনে ভাবলাম মা’রা এমনই হন সব সময় ছেলে-মেয়ের কথা ভাবেন। তাদের যেন এতটুকু কষ্ট না হয়। নিজে না খেয়েও সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেন। আমি আর মা বের হয়ে পড়লাম সকাল সকাল। আমাদের পাইলট ফরহাদ আগের থেকেই অপেক্ষা করছিল। এক স্নিগ্ধ সকালে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। গাবতলি পর্যন্ত আমাদের পাইলট নিয়ে যাবেন পরের অংশ টুকু বাসে করে যেতে হবে। সকাল বেলা রাস্তায় তেমন কোন যানজট ছিল না তাই বেশ অল্প সময়ের মাঝেই আমরা গাবতলি পৌঁছে যাই। আমাদের অপেক্ষায় ছিল বাস মহাশয়, বাসে চেপে বসতেই বাস ছেড়ে দিল। মহাসড়ক পেরিয়ে এগিয়ে চলছে আমাদের বাস। মাঝে মধ্যে যানজটের দরুন গাড়ি থেমে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এদিকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার দরুন নিদ্রা দেবী চোখের মাঝে উৎপাত শুরু করছে। নিরুপায় হয়ে চোখ বন্ধ করলাম। হঠাৎ করে চিৎকার চেঁচামেচির চোটে ঘুম ভেঙ্গে গেল। বাসে কোন এক মহান যাত্রী ধূমপান করছেন যার জন্য এই অবস্থা। আমারও মনে মনে রাগ হচ্ছিল খুব। আর এমনিতেই নিকোটিনের গন্ধ আমি সহ্য করতে পারি না। তাই আমি ও প্রতিবাদ করে উঠলাম। যাই হোক ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকাতেই দেখি কীভাবে যেন তিন ঘণ্টা সময় পার হয়ে গেছে টেরই পেলাম না। রাস্তায় তেমন একটা জ্যাম না থাকার দরুন ছয় ঘণ্টার মাঝেই পৌঁছে যাই মেহেরপুরে। ঘড়ির কাঁটাতে তখন ঠিক দুপুর একটা। এবার আমরা লোকাল বাস করে মুজিবনগরের দিকে ধাবিত হলাম। আমার মনের মাঝে কেমন জানি শিহরিত হতে লাগল। নিজের অস্তিত্বকে জানতে আর আত্মপরিচয়ের সেই ইতিহাসকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমাদের এবারের এই যাত্রা। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জনপদ এটি। মুজিবনগর গিয়ে দৃশ্য পটে ভেসে উঠল একাত্তরের বাংলাদেশ। উত্তাল বাংলাদেশের রক্তাক্ত জনপদের কথাই মনে পড়ে। মুজিবনগর মানেই একাত্তরে ছিল বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশকে ঘিরে মুজিবনগরে তৈরি করা হচ্ছে মানচিত্র। ১১টি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ঘটনাচিত্র তুলে ধরা হচ্ছে এই মানচিত্রে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিন সপ্তাহ পর বৈদ্যনাথতলা নামে পরিচিত বিশাল আমবাগান এলাকাকে ‘মুজিবনগর’নাম দিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে পাক হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করতে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। মুজিবনগর সরকারের দক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। ঘোষণাপত্রে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করা হয়। ঘোষণাপত্রে সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদকে অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী নিযুক্ত হন। আর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী অস্থায়ী সরকারের মুক্তিবাহিনীর প্রধান কমান্ডার এবং মেজর জেনারেল আবদুর রব চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন। দেখা হলো ওই এলাকার প্রবীণ আসগর আলীর সঙ্গে তিনি বললেন ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল। সীমান্তবর্তী বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আমবাগানের চারদিকে রাইফেল হাতে কড়া পাহারায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। হাজার হাজার মুক্তিকামী বাঙালীর উপচেপড়া ভিড় চারদিকে। দেশী-বিদেশী সাংবাদিকরাও প্রস্তুত। মুক্ত আকাশের নিচে চৌকি পেতে তৈরি করা হয় শপথ মঞ্চ। মঞ্চের ওপর সাজানো ছয়টি চেয়ার। অনুষ্ঠানের প্রবেশ পথে বাংলায় লেখা ‘স্বাগতম’। তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম অন্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সকাল ৯টার দিকে বৈদ্যনাথতলায় পৌঁছান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা ১১টায়। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনসারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে অভিবাদন জানান। অভিবাদন গ্রহণের পর স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। গৌরীনগরের বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবেরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। আমি আর মা ধীর পায়ে এগিয়ে যেতে লাগলাম মূল গেট দিয়ে ঢুকে প্রথমে দেখতে পেলাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানীর ঐতিহাসিক গুরুত্বকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৮ সালের ১৭ এপ্রিল কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করা হয়। ৬৬ একরের বিশাল আয়তনের নান্দনিক এই কমপ্লেক্সটিতে একটি জাদুঘর, মিলনায়তন, সংলগ্ন প্লাজা, স্বাধীনতা ক্লাব, পাঠাগার, রেস্ট হাউস, হেলিপ্যাড, পিকনিক স্পটসহ নানা সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে। মূল কমপ্লেক্সটি চারতলা উঁচু একটি বৃত্তাকার ভবনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে, যার প্রতিটি তলায় দর্শনার্থীদের জন্য প্রশস্ত করিডর রাখা হয়েছে। করিডরে দাঁড়িয়ে নিচে তাকালে বাংলাদেশের একটি বিশাল মানচিত্র দেখতে পাওয়া যায়। কমপ্লেক্স ভবনের বাইরে কমপ্লেক্স-সংলগ্ন খোলা চত্বরে বৃত্তাকারভাবে ঐতিহাসিক ছয় দফার রূপক হিসেবে ছয়টি গোলাপ বাগান, সাতই মার্চের ভাষণ, মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ, মন্ত্রিসভা, পতাকা উত্তোলন, পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণসহ ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য দেখা যায়। সেক্টরভিত্তিক যুদ্ধকালীন নানা ঘটনার ছোট্ট ভাস্কর্যগুলো যেন চোখের সামনে মেলে ধরেছে ১৯৭১-এর বাংলাদেশকে। আমাদের মতো অনেকেই এসেছেন এখানে তাদের সন্তানদের নিয়ে আমাদের মুক্তির ইতিহাস জানাতে। মানচিত্র স্থাপনার ঠিক বাইরে রয়েছে ১৯৭১-এর নানা ঘটনাপঞ্জির স্মারক ম্যুরাল, আছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণরত অবস্থার ম্যুরাল, মুজিবনগর সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভাস্কর্য, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদানের দৃশ্য, ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল তেলিয়াপাড়ায় গঠিত মুক্তিবাহিনীর ম্যুরাল, নিয়াজির আত্মসমর্পণের চিত্র, পাকিস্তানীদের নির্যাতনের নানা দৃশ্য। বিরাটাকার দুটি পাকা দেয়ালে লিখে রাখা হয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণপত্র। ঐতিহাসিক এসব ঘটনার ম্যুরালের সামনে দাঁড়িয়ে অনেককেই ফ্রেমবন্দি হতে দেখা গেল। স্মৃতি কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে পথ ধরি স্মৃতিসৌধের দিকে। মুজিবনগর ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ হলো মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ। প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণসহ মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ১৯৮৭ সালের ১৭ এপ্রিল এটি উদ্বোধন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার যেখানে গঠিত হয়, সেখানে এই স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলা হয়েছে। এর স্থপতি তানভীর করিম। ১৬০ ফুট ব্যাসের গোলাকার স্তম্ভের ওপর মূল বেদিকে কেন্দ্র করে ২০ ইঞ্চি ২৩টি ত্রিভুজাকৃতি দেয়ালের সমন্বয়ে স্মৃতিসৌধটি গঠিত। স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে গোলাকার বৃত্তের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীর খুলি বোঝানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে ওঠার জন্য মোট ১১টি সিঁড়ি ব্যবহার করতে হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধারা যে ১১টি সেক্টরে ভাগ হয়ে যুদ্ধ করেছেন ১১টি সিঁড়ি সেই ১১টি সেক্টরের প্রতীক। এর পর আমরা মা ও ছেলে এগিয়ে গেলাম মিউজিয়াম এর দিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ আলোকচিত্র মাধ্যমে প্রদর্শনের জন্য মূল কমপ্লেক্স ভবনের ভেতরে মিউজিয়ামটি নির্মাণ করা হয়েছে। মিউজিয়ামের ভেতরে ১০ জন জাতীয় নেতার তৈলচিত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ২৪টি বড় আকারের তৈলচিত্র দেখতে পাওয়া যায়। যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সড়কপথে সরাসরি মুজিবনগর যাওয়া যায়। এছাড়া বাসে মেহেরপুর জেলা সদর, সেখান থেকে সহজেই যাওয়া যায় মুজিবনগর। মেহেরপুর সদর থেকে মুজিবনগরের দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। ঢাকার কল্যাণপুর ও গাবতলি থেকে জেআর পরিবহন, মেহেরপুর ডিলাক্স, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স এবং শ্যামলী পরিবহনের বাস সরাসরি যায় মেহেরপুর ও মুজিবনগর। ভাড়া ৩৫০-৫০০ টাকা। নিজস্ব বাহন নিয়ে গেলে পাটুরিয়ার ফেরি পারাপারের ঝক্কি এড়িয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা অতিক্রম করে লালনশাহ সেতু (পাকশী সেতু) পেরিয়ে মেহেরপুর যাওয়া যায়। যেখানে থাকবেন : মুজিবনগরে থাকার জন্য বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল ‘মুজিবনগর’ নির্মাণ করা হলেও সেখানে নেই পানি ও বিদ্যুত। তবে মুজিবনগরে আছে মেহেরপুর জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ‘সূর্যোদয়’। কক্ষ খালি থাকলে এখানে থাকা যায়। মেহেরপুর জেলা সদরেও সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে। বাস স্টেশনের কাছে আছে ফিন টাওয়ার হোটেল, নাইট বিলাস হোটেল এবং শাহজাদী আবাসিক হোটেল। বড় বাজারের কাছে আছে হোটেল মিতা, হোটেল অবকাশ, হোটেল অনাবিল ইত্যাদি। এসব হোটেলে ১শ’ থেকে ১ হাজার টাকায় কক্ষ পাওয়া যাবে।
×