ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

টাইফুনের পর জাপানে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৭

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

টাইফুনের পর জাপানে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৭

জাপানে ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন জেবিতে তছনছ হওয়ার পর এবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ হোক্কাইডোতে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ৩টা ৮ মিনিটে হোক্কাইডোতে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এএফপি। ভূমিকম্পে অন্তত সাতজন নিহত ও ১২০ জন নিখোঁজ থাকার কথা প্রাথমিক খবরে বলা হয়। এনএইচকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর ১২০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন স্থাপনা দুর্বল হয়ে পড়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে সতর্কভাবে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ৬.৭ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তমোকোমাই শহরের কাছে, ভূ-পৃষ্ঠের ২৭ কিলোমিটার গভীরে। হোক্কাইডোতে ১৯৯৬ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ভূমিকম্পের পর থেকে হোক্কাইডোর প্রায় ত্রিশ লাখ বাড়িতে বিদ্যুত ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, বন্ধ রয়েছে দ্রুতগামী ট্র্রেন এবং প্রায় সব ধরনের সাধারণ পরিবহন। এ ভূমিকম্পের মাত্র এক দিন আগে সুপার টাইফুন জেবির আঘাতে পশ্চিমাঞ্চলীয় ওসাকা ও কিয়েটোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, নিহত হন ১১ জন। ভূমিকম্পের পরপরই পুরো শহরে বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাট ধসে পড়ে এবং দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাড়িঘরগুলো। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, ‘এটি সত্যি মর্মান্তিক দুর্যোগ। আমরা একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছি। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার সৈন্য আহতদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে। ঝুঁকি এড়াতে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নির্ণয় করা কঠিন। তবে সরকার জনগণের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এদিকে টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, হোক্কাইডোর ভূমিকম্পে কোন বাংলাদেশী আহত হননি। এখানে বসবাসরত সকল বাংলাদেশী নিরাপদে রয়েছেন। ১৮ জুন সাকায় ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫ জন নিহত হয়। এরপর জুলাই মাস জুড়ে দাবদাহে ৮৩ জন, অতিবৃষ্টিতে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপর মঙ্গলবারের টাইফুনে আরও ১১ জন প্রাণ হারায়। এদিকে টাইফুন জেবির সঙ্গে আসা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ‘কানসাই’ শুক্রবার থেকে আবার চালু হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেখানে কেবল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠানামা করবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
×