ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানি ১৮ অক্টোবর

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানি ১৮ অক্টোবর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৮ অক্টোবর দিন ঠিক করেছে আদালত। অন্যদিকে উস্কানি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আগাম জামিন আপাতত বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে বিষয়টি আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আপীল বিভাগের চেম্বার জজ আাদালত ও ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ আদেশগুলো প্রদান করেছে। গ্যাটকো দুর্নীতি অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি ১৮ অক্টোবর। বৃহস্পতিবার মামলাটি অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এ মামলায় দুই আসামি তানভীর আহমেদ এবং গালিব হোসেনের পক্ষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা দেন। এদিন দুদকের প্রধান কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে পুরান ঢাকার বকশীবাজার অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য এ নতুন তারিখ ঠিক করেন। সেই সঙ্গে প্রডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার আইনজীবী জানান, জরুরী বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া। গত ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা গেছেন। মামলাটিতে বর্তমান আসামির সংখ্যা ২০ জন। অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন। আসামিদের মধ্যে সম্প্রতি এম কে আনোয়ার মারা গেছেন। আমীর খসরুর আগাম জামিন আপাতত বহাল ॥ উস্কানি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আগাম জামিন আপাতত বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে বিষয়টি আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে আমীর খসরুর পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
×