ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

উবাচ

পতন চাই! স্টাফ রিপোর্টার ॥ ড. কামাল হোসেন নির্ভেজাল গণতন্ত্রের জন্য সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করেছেন। আপাতত এই আন্দোলন জোট গঠন আর টেলিভিশন টকশোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বড়জোর প্রেসক্লাবের ভেতরে বাইরে মানববন্ধন আর সেমিনার করে চলেছেন তারা। ড. কামাল হোসেন, বি চৌধুরী, আসম আব্দুর রব আর মাহমুদুর রহমান মান্নার যে ঐক্য তাতে সরকার গঠন পর্যন্ত দৌড়ে যাওয়া কঠিন। একটি প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে সেই শক্তি আর জনপ্রিয়তা এখনও কী তাদের অবশিষ্ট আছে। দেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার মতো দলীয় লোকজনই নেই এদের। আর এজন্য বড় কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থন দরকার। শোনা যাচ্ছে বিএনপির লন্ডন প্রবাসী নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে এই জোটের। বিএনপির একজন পরামর্শককেও জোট গঠনের বৈঠকে দেখা যায়। কিন্তু বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে কি নির্ভেজাল গণতন্ত্রের প্রত্যাশা পূরণ আদৌও সম্ভব! নির্বাচনের আগে এ ধরনের জোট হয়েই থাকে। পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠলে এর আগেও বসন্তের এমন কোকিলকে আর ডাকতেও শোনা যায়নি। এবার দেখা যাক কতক্ষণ টিকে থাকে এই জোট। খালেদার সুবিধার জন্যই স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি এইচ এম এরশাদের বিচার করেছিল কারাগারে। এখন খালেদা জিয়ার বিচার কারাগারে হতে সমস্যা কোথায়? খালেদা জিয়ার সুবিধার্থে কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সর্বপ্রথম কারাগারে আদালত বসিয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সে সময় ওই আদালতে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি দিয়েছিল। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখন এরশাদ সাহেবের জন্য কারাগারে আদালত বসানো হয়েছিল। এখন কারাগারে আদালত বসানোর মূল কারণ হচ্ছে তার (খালেদা জিয়া) সুবিধার্থে। কারণ তিনি অসুস্থ, তাই কারাগারের বাইরে যেতে পারছিলেন না। মামলার তারিখ পড়ছিল বারবার। গত ৬ মাস ধরে তিনি একদিনও হাজির হতে পারেননি। তাই তার জন্য কারাগারে আদালত বসানো হচ্ছে। জাপা ছাড়া চলবে না স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী নির্বাচনে যে কোন দলের সরকার গঠনের ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিকে ছাড়া চলবে না বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কয়েকদিন আগে দলীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, চেষ্টা করলে ক্ষমতায় যেতে পারবে জাতীয় পার্টি। সে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে জাতীয় পার্টি ‘এককভাবে’ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দেবে। জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ক্ষমতার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে থাকবে। আর এ কারণেই প্রতিদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির পতাকাতলে সমবেত হচ্ছে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে জাতীয় পার্টিকে ছাড়া কেউই সরকার গঠন করতে পারবে না।
×