ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশের টার্গেট শুধু মোটরসাইকেল

রাজশাহীতে অবাধে চলছে অবৈধ যান

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রাজশাহীতে অবাধে চলছে অবৈধ যান

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ মহানগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি রাস্তায় দেদার চলাচল করছে নিষিদ্ধ ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানবাহন। প্রকাশ্যে এসব যানবাহন চলাচল করলেও চেকপোস্টগুলোতে শুধু মোটরসাইকেল টার্গেট পুলিশের। চোখের সামনে অবৈধ যানগুলোর দিকে কোনই নজর নেই ট্রাফিক বিভাগের। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে অবশ্যই মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহনের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ জরুরী। তবে এ ক্ষেত্রে নগর ট্রাফিক বিভাগ শুধু আইনের আওতায় নিচ্ছে মোটরসাইকেল চালকদের। অবৈধ যানগুলো যাতে নিয়ম ভেঙে শহরে চলাচল করতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। তবেই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিন নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর, নওদাপাড়া আমচত্বর ও ভদ্রা মোড়, তালাইমারি, বন্ধগেট বাইপাস ঘুরে দেখা গেছে, শ্যালোইঞ্জিন চালিত নিষিদ্ধ ঘোষিত যানবাহন ভটভটি-নসিমনসহ রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি, মাহিন্দ্রা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চলাচল করছে ট্রাফিক পুলিশের চোখের সামনেই। পাশাপাশি নগরীতে দিনের বেলায় ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সড়কগুলোতে চলাচল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রশাসনের চেকপোস্ট দিয়েই এসব অবৈধ যানবাহন নগরীতে প্রবেশ ও চলাচল করছে। শহরে চলাচল করছে ফিসনেসবিহীন যানবাহনও। রাজশাহী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রায় প্রতিটি মোড়েই রয়েছে ট্রাফিক চেকপোস্ট। সেখানে দায়িত্বে থাকেন ট্রাফিক সার্জেন্টসহ কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ। তাদের সামনে দিয়ে অবৈধ যান শহরে প্রবেশ করছে। কিন্তু তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন মোটরসাইকেলের প্রতি। মোটরসাইকেল দেখলেই তারা সতর্ক হয়ে ওঠেন। চালককে থামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। এদিকে সংশ্লিষ্ট দফতরের তথ্য অনুযায়ী, নগরীতে এখন ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ হাজার। এর বাইরেও প্রতিদিনই নামছে আরও নতুন নতুন অটোরিক্সা। রয়েছে প্রায় ১০ হাজারের মতো সিএনজি ও মাহিন্দ্রা। এর বাইরেও শহরে চলাচল করতে দেখা যায় অবৈধ ভটভটি ও নসিমন। অনেক অটোরিক্সার নবায়ন নেই। এছাড়া এই যানবাহনগুলোর ফিটনেস নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। চালকদের দক্ষতা বা সড়কে চলাচলে নিয়ম মানতে দেখা যায় না। এমনকি শিশুরাও চালাচ্ছে অটোরিক্সা। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা হয় শহরজুড়ে। ফলে নগরীতে বাড়ছে যানজট। এসব নিয়ন্ত্রণের বালাই না থাকলেও মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ সবচেয়ে ব্যস্ত মোটরসাইকেল ধরতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, তার মোটরসাইকেলের সব কাগজপত্র আপডেট থাকলেও তাকে হয়রানি করা হয়েছে। তবে মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, ট্রাফিক আইনে সকল যানবাহকে চেক করার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজ না থাকলে নির্দিষ্ট জরিমানারও বিধান রয়েছে। ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সকল সার্জেন্ট ও সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। এখানে পক্ষপাতিত্বে কোন বিষয় নেই। তবে কোন সার্জেন্ট যদি এমন করে থাকে তবে সেটি ভুল। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
×