ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চিতলমারী সড়ক বেহাল ॥ চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চিতলমারী সড়ক বেহাল ॥ চরম ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ চিতলমারী উপজেলার চিতলমারী টু বাবুগঞ্জ মূল সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ফলে চিতলমারী সদর থেকে বোয়ালিয়া, বাবুগঞ্জ ও মাটিভাঙ্গা বাজারে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এ সড়কটিতে যানবাহন তো দূরের কথা মানুষের চলাচলেরই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চিতলমারী সদর থেকে বাবুগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এ সড়কটি চলাচলের অনুপযুক্ত হওয়ায় বাধ্য হয়ে চিতলমারী থেকে বোয়ালিয়া ও মাটিভাঙ্গা বাজারে যাওয়ার জন্য জনসাধারণ বিকল্প হিসেবে খড়মখালি, খলিশাখালি রাস্তা ব্যবহার করছেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কার না করায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হিজলা ও চরবানিয়ারী ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার দুই কিলোমিটারে মধ্যেই রয়েছে শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজ, বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারী চিতলমারী এস এস এম উচ্চ বিদ্যালয়, হাসিনা বেগম বালিকা বিদ্যালয়সহ তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বোয়ালিয়া- বাবুগঞ্জ এলাকার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য এ সড়কটি প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হওয়ায় প্রতিনিয়ত তাদের চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও এলাকায় উৎপাদিত সবজি ও মাছ এ সড়ক দিয়ে চিতলমারী সদরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবারহ করতে চাষীরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। তাই এ সড়কটি মেরামত করা এখন এলাকাবাসীর প্রাণে দাবি হিসেবে পরিণত হয়েছে। শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাসীন রেজা জানান, দীর্ঘদিন সড়কটিতে অচলাবস্থায় থাকায় প্রতিদিন চরম বিপাকে পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তিনি জরুরীভাবে এ সড়কটি সংস্কারের জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান। এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা প্রকৌশলী জাকারিয়া ইসলাম জানান, চিতলমারী টু বাবুগঞ্জ সড়ক মেরামতের জন্য অনেক আগেই টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মাধ্যমে দ্রুত সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বরিশাল স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, দুর্ভোগের আরেক নাম বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুড়া-সাতলা সড়ক। এ সড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশে বেহাল দশার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। উপজেলার ঘনবসতিপূর্ণ ওটরা, সাতলা ও হারতা ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগের প্রধান পথ ধামুড়া-সাতলা সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে এ রুটের বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে উপজেলা সদর ও জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে উপজেলার হারতা, নাথারকান্দি, শিবপুর, রাজাপুর, সাতলা, নয়াকান্দি, রাজাপুর, পশ্চিম সাতলা, ওটরা, মশাং, কেশবকাঠী, মুন্সিরতাল্লুক, চকমানসহ পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক হাজার স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে থাকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ধামুড়া থেকে সাতলা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়কের ধামুড়া ডিগ্রী কলেজের সম্মুখ থেকে ওটরা চেড়াগালী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশা। সড়কের ধামুড়া কলেজ থেকে দক্ষিণ পাশে গজেন্দ্র নামকস্থানে কয়েকটি বিশাল গর্তের কারণে সড়কের করুণ দশা। বৃহস্পতিবার সকালে গজেন্দ্র এলাকায় ওই রুটে চলাচলকারী শুভেচ্ছা পরিবহন-৪ নামে একটি যাত্রীবাহী বাস সড়কের মধ্যে গর্তে আটকে বিকল হয়ে রয়েছে। বাসটির পেছনে আরও পাঁচটি বাস আটকে আছে। স্থানীয় হাসান মোল্লা জানান, বরিশালের উদ্দেশ্যে সকাল পৌনে ১০টায় সাতলা থেকে ৩০/৩৫ যাত্রী নিয়ে বাসটি ছেড়ে সাড়ে ১০টার দিকে গজেন্দ্র নামকস্থানে এলে সড়কের গর্তে আটকে বিকল হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। ভ্যান চালক আব্দুর রহিম বেপারি জানান, প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে খানাখন্দে ভরা এ সড়কটি মেরামত করা হলেও মেরামতের এক বছরের মধ্যে তা আগের রূপ ধারণ করেছে। এ রুটে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাসের চালকরা জানান, সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন গাড়ির বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও যাত্রী পাওয়া যায় না। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগেও পড়তে হচ্ছে। এসব কারণে তারা বাস চালানো প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইউনুস আলী বলেন, ওই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরেই চলাচল অযোগ্য হয়ে পরেছে। পাঁচ বছরেও সড়কটিতে সংস্কার কাজ হয়নি। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
×